দেশের খবর: ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে থার্টি ফার্স্ট নাইটে খোলা জায়গায় কোনো অনুষ্ঠান করা যাবে না, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করা যাবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না এবং রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি, মোটরসাইকেল চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ডিএমপি।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে থার্টি ফার্স্ট নাইট-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এসব নির্দেশনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ইংরেজি নববর্ষের প্রাক্কালে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলো পালিত হবে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
ডিএমপি কমিশনার জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত,সমাবেশ, উৎসব করা যাবে না। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান করা বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।
তিনি জানান, ওইদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারবে।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে ওই এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, রাত ৮টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুড দোকান বন্ধ থাকবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট নগরবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে। নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ডিএমপি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে কোনো প্রকার হুমকি নেই। এছাড়া ইংরেজি নতুন বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।