দেশের খবর: দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা প্রায় গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০২ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৫৫ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৭ হাজার ৪৮৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ২৭ হাজার ৯২০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১২ দশমিক ০৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৬ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৮ জন। চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহে ১ জন করে মারা গেছেন। এর আগে গত ১৭ অক্টোবর দেশে করোনাভাইরাসে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
চলতি বছরের প্রথম দিন (১ জানুয়াারি) থেকেই করোনার সংক্রমণ ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ডিসেম্বর মাসে মাত্র চার হাজার ৫৮৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হলেও চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১২ হাজার ৮৫০ জন। চলতি মাসে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ঢাকায় ১২ দশমিক ৮ শতাংশ ও রাঙ্গামাটিতে ১০ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। সম্প্রতি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
এদিকে সংক্রমণের উচ্চঝুঁকি, মধ্যম ঝুঁকি ও কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ঢাকা ও রাঙ্গামাটি জেলা সংক্রমণের রেড জোন অর্থাৎ উচ্চঝুঁকি রয়েছে। এছাড়া হলুদ জোন বা মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৬ জেলা এবং কম ঝুঁকি অর্থাৎ সবুজ জোনে রয়েছে দেশের ৫৪ জেলা।
উচ্চঝুঁকিতে থাকা ঢাকায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং রাঙ্গামাটিতে শনাক্তের হার ১০ শতাংশ।