ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রধান শহর শ্রীনগরে ছররা গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়ার পর কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও নিরাপত্তা বাহিনী এখনও পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী বিক্ষোভকারীদের ওপর ছররা গুলি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
ভারত শাসিত কাশ্মীরে প্রধান শহর শ্রীনগরে ছররা গুলিতে ঝাঁঝরা হওয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃতদেহ পাওয়ার পর কাশ্মীর জুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বিক্ষোভ দমনে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বললেও নিরাপত্তা বাহিনী এখনও পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী বিক্ষোভকারীদের ওপর ছররা গুলি ব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।
খবরে বলা হচ্ছে ওই কিশোরের শেষকত্য অনুষ্ঠানে যোগদানকারী হাজার হাজার মানুষের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে।
কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটের ব্যবহার সাময়িকভাবে স্থগিত করে দিয়েছে।
শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন জুলাই মাসে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার পর এটাই ছিল এ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ।
বিচ্ছিন্নতাকামী এক আন্দোলনকারীকে নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করার পর ভারতীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়ই জুলাই থেকে রাস্তাঘাটে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
সংবাদদাতা জানাচ্ছেন কারফিউ অমান্য করে নিহত কিশোর নাসির শফির শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এরপরই পুলিশ শোকার্তদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে।
মুসলমান প্রধান এই শহর জুড়ে চলাচল ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
শুধু সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছাড়া আর সব মোবাইল নেটওয়ার্ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
দুমাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সহিংসতায় আশিজনের ওপর লোক মারা গেছে, যাদের অধিকাংশই সরকার-বিরোধী বিক্ষোভকারী।
ঈদুল আযহার দিন শ্রীনগরে সামরিক বাহিনী কুচকাওয়াজ করলে শহরে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এদিকে নাগরিক আন্দোলনকারী খুররম পারভেজ যিনি জেনিভায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন তার যাওয়া বন্ধ করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুদিন আগে এবং তাকে এখন শ্রীনগরের বাইরে একটি কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।