চীনাবাদাম সাধারণত আমরা বাদাম ভাজা হিসেবে খাই। তাছাড়া বিভিন্ন পদের খাবারেও বাদাম ব্যবহার করা হয়, কিন্তু স্বল্পমূল্যের এই খাবারটি যে পৃথিবীর অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার তা অনেকেরই অজানা। নিয়মিত চীনাবাদাম খেলে ক্যানসার ও হৃদরোগে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে। চীনাবাদাম ও নানা জাতের গাছ-বাদামে এমন পুষ্টি উপাদান আছে যা অনেক রোগ থেকেই আমাদের বাঁচাতে পারে।
চীনাবাদামে রয়েছে খনিজ কিছু.পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, তামা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম এবং দস্তা, এই মিনারেল বা খনিজ বিভিন্ন শরীরের ফাংশন মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে. বাদামে রয়েছে অসাধারণ কিছু ক্ষমতা। এই বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে মিলতে পারে হৃদ-সম্পর্কিত রোগ ও স্ট্রোকের মত মারাত্মক রোগের হাত থেকে।
আন্তর্জাতিক এক গবেষনায় বলা হয়েছে, খাওয়ার পর বিশেষ ধরনের চর্বি ট্রাইগ্লিসেরাইড এবং রক্তের লিপিডস এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে অনমনীয় হয়ে যায় ধমনী। এর কারনে হতে পারে হৃদরোগ।
গবেষণার ফলাফলে এমনিটিই প্রকাশ করা হয়েছে যে, যেসব স্বাস্থ্যবান পুরুষরা যদি উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে প্রায় তিন আউন্স পরিমাণ বাদাম গ্রহণ করে থাকেন,তাহলে তাদের রক্ত প্রবাহে লিপিডের পরিমাণ বেড়েছে তুলনামূলক অনেক কম। এবং ‘ট্রাইগ্লিসেরাইড’য়ের মাত্রা কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩২ শতাংশ এর কাছাকাছি।
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক পেনি ক্রিস ইথারটন বলেন, খাওয়ার পর সাধারণত আমাদের ধমনী শক্ত হয়ে যায়। তবে আমরা যদি খাবারের সাথে কিছুটা বাদাম খাওয়া হয় তাহলে তা ধমনী শক্ত হওয়া রোধ করতে সাহায্য করে। ধমনীর চারপাশের আবরণের কোষগুলোতে যখন এই শক্ত হওয়া দেখা যায় তখন ধমনীর স্থিতিস্থাপতকতা কমে যায়। কারণ, কোষে নাইট্রিক অক্সাইডের সরবরাহ কমে যাওয়া, যা ধমনীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
জার্নাল অফ নিউট্রিশনয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ক্রিস ইথারটন আরও বলেন, খাওয়ার পর ট্রাইগ্লিসেরাইডস বেড়ে যায়। যার ফলে ধমনীর নমনীয়তা কমিয়ে দেয়। তবে ট্রাইগ্লিসেরাইডসয়ের বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে বাদাম।
ক্রিস ইথারটন তিনি তার ভাষায় বলেন, হৃদপিণ্ডের পরিশ্রম যদি বেশি যায় তাহলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা যায়। সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস।