ইরানের রাজধানী তেহরানে দেশটির পার্লামেন্ট ভবন এবং তাদের প্রয়াত সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে একইসঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পার্লামেন্টের এক নিরাপত্তা প্রহরী এবং মাজারে আরেকজন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইরানের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কয়েকজন সশস্ত্র ব্যক্তি পার্লামেন্টের ভেতর ঢুকে গুলিবর্ষণ করেছে।
বেশ কয়েকজন হামলাকারী হঠাৎ করেই একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে বলে এক সংসদ সদস্যের সূত্রে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইআরআইবি। ইরানের এমপি এলিয়াস হজরতি বলেছেন, তিনজন হামলাকারীর দু’জনের হাতে কালাশনিকভ রাইফেল এবং একজনের কাছে একটি কোল্ট পিস্তল ছিল।
আইআরআইবি বলছে, এ ঘটনায় ভেতরে থাকা কমপক্ষে দু’জন নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছে। তবে অন্য কিছু গণমাধ্যমে বলা হয়েছে আহতের সংখ্যা ১। বার্তা সংস্থা আইএসএনএ এবং ফার্স বলছে, এক নিরাপত্তারক্ষীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। হতাহতের তথ্য নিয়ে এখনো পরস্পরবিরোধী তথ্য দিচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, পার্লামেন্টে গোলাগুলির ঘটনা থেমে গেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে এবং বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে।
একই সময়ে ইরানের আধুনিক ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জনক ও ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমিনির মাজারেও গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মাজারের জনসংযোগ কর্মকর্তা আলী খলিলি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ-কে জানায়, সেখানে হামলাকারীদের একজন মাজারের বাইরে অবস্থিত ব্যাংকের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওই হামলায় একজন নিহত এবং ৫ জন আহত হয় বলে জানান তিনি।