বিদেশের খবর : রুশ বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৩৭ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এছাড়া ৩১৬ জন সৈন্য আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। খবর: সিএনএন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
ভলোদিমির বলেন, বিদেশি নেতাদের সঙ্গে আমি কতবার কথা বলেছি তা কোনো বিষয় নয়। এই সময়ে আমি কিছু বিষয় শুনেছি। এর মধ্যে প্রথম হলো- আমরা সমর্থন পেয়েছি। যারা আমাদের শুধু কথায় নয়, দৃঢ়ভাবে সাহায্য করেছে তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তবে আরেকটি বিষয়, তা হলো- প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমাদের একা করে দেওয়া হয়েছে। কারা আমাদের সঙ্গে লড়াই করতে প্রস্তুত? সত্যি বলতে কাউকে দেখছি না।
তিনি বলেন, আজকে আমি ইউরোপের ২৭ জন নেতার সঙ্গে কথা বলেছি যে ইউক্রেন ন্যাটোতে থাকবে কি না। তাদের সবাই ভয় পেয়েছে, কোনো জবাব দেননি। তবে আমরা ভীত নই, যে কোনো কিছু করতে আমরা ভীত নই।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইউক্রেন এবং রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য।
এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোর ৫টার কিছু সময় পর। এরপর মোট চার থেকে পাঁচবার বিস্ফোরণে ঘটে বলে বিবিসি, সিএনএন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আক্রমণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার ৫০ ও ইউক্রেনের ৪০ সেনা নিহত হন বলে দাবি করে কিয়েভ প্রশাসন। এছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।