খেলার খবর: আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। ৩০৭ রানের কঠিন টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানরা ২১৮ রানে গুটিয়ে যায়। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নেয় ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে শুধু সিরিজই নিশ্চিত হয়নি বাংলাদেশের, ইংল্যান্ডকে টপকে উঠে গেছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। তাকে সঙ্গ দেন উইকেটকিপার ব্যটার মুশফিকুর রহিম। ঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে ১৩৬ রান করেন লিটন। মুশফিক খেলেন ৮৬ রানের চমৎকার ইনিংস। এতে র্নিধারিত ৫০ ওভার শেষে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
৩০৭ রানের বিশাল লক্ষের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের মধ্যে নিজেদের প্রথম তিনটি উইকেট হারায় আফগানরা। এরপরই দলের হাল ধরেন নাজিবউল্লাহ জাদরান ও ওপেনার রহমত শাহ। তারা দুইজন মিলে চতুর্থ উইকেটে বড় জুটি গড়ার পথে এগুতে থাকেন। ৮৯ বল খেলে তারা ৯০ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। কিন্ত অল্প সময়ের ব্যবধানে রহমত শাহকে ৫২ ও নাজিবুল্লাহকে ৫৪ রানে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন।
এরপর ব্যাট করতে নামা রহমতউল্লাহ গুরবাজকে ৭ রানে সাকিব আল হাসান বোল্ড আউট করে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেন। তবে মাঝে মোহাম্মদ নবি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি ৩৮ বল খেলে ৩২ রান করার পর মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
নবির পাশাপাশি রশিদ খান রানের ব্যবধানটা কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি বেশিদূর আগাতে পারেননি। দলীয় ২০৫ রানের সময় অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে মুস্তাফিজের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। রশিদ আউট হওয়ার আগে ২৬ বল খেলে ২৯ রান করেন।৪৫তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই উইকেট পেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ৮ রান করা মুজিবকে ফেরান তিনি।
৪৫.১ ওভারে আফিফের বলে ফারুকি (০) বোল্ড হলে ২১৮ রানে প্যাকেট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ৮৮ রানের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ। ২টি করে উইকেট নেন সাকিব-তাসকিন। বাকি পাঁচটি উইকেট পাঁচ বোলার ভাগাভাগি করেন।
আফগানিস্তানে বিপক্ষে এ সিরিজ জয়ের মাধ্যমে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজে জয় পেল।
২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত টাইগাররা বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইবার, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুইবার, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একবার ও আফগানদের বিপক্ষে একবার ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। যার সবগুলোতেই জয় তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০৬/৪ (তামিম ১২, লিটন ১৩৬, সাকিব ২০, মুশফিক ৮৬, মাহমুদউল্লাহ ৬*, আফিফ ১৩*; ফারুকি ১০-১-৫৯-১, ফরিদ ৮-০-৫৬-২, মুজিব ১০-০-৪৯-০, ওমরজাই ৭-০-৩৭-০, রশিদ ১০-০-৫৪-১, নবি ৪-০-২৬-০, রহমত ১-০-১০-০)।
আফগানিস্তান: ৪৫.১ ওভারে ২১৮ (রহমত ৫২, রিয়াজ ১, শাহিদি ৫, ওমরজাই ৯, নাজিবউল্লাহ ৫৪, নবি ৩২, গুরবাজ ৭, রশিদ ২৯, মুজিব ৮, ফরিদ ৬*, ফারুকি ০; মুস্তাফিজ ৮-০-৫৩-১, শরিফুল ৭-০-৪৪-১, তাসকিন ১০-২-৩১-২, সাকিব ৯-০-২৯-২, মিরাজ ১০-০-৫২-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-২-১, আফিফ ০.১-০-০-১)।