দেশের খবর: নতুন এমপিওভুক্তির জন্য সারাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আবেদন করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী সব শর্ত পূরণ করেছে। ঈদের আগে এ তালিকা চূড়ান্ত করতে চান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে মে মাসের মধ্যে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত এক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির যাচাই-বাছাই কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন।
সভা সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রী কমিটির কাছে খসড়া তালিকা দেখতে চান। এ তালিকায় যুক্ত করা কোন প্রতিষ্ঠানের কী অবস্থা তা জানতে চান।
তালিকা দেখার পর সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম না হয়। নীতিমালা অনুযায়ী যারা শর্ত পূরণ করবে তাদের নাম যুক্ত করতে নির্দেশ দেন তিনি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষ করে খসড়া তালিকা মন্ত্রীর কাছে তুলে দিতে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সভায় উপস্থিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য সাধারণ স্কুল-কলেজ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আর কারিগরি ও মাদরাসা থেকে প্রায় তিন হাজার আবেদন আসে। সেখান থেকে শর্ত পূরণ ও যাচাই-বাছাইয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া গেছে এমন আড়াই হাজার প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত করছে কমিটির সদস্যরা। তালিকায় যুক্ত কিছু প্রতিষ্ঠান আবারও যাচাই করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সব ঠিক হলে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আবারও সভা করে শিক্ষামন্ত্রী তালিকায় স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন। সেখান থেকে অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিও যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) ফৌজিয়া জাফরীনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। ঈদের আগে খসড়া চূড়ান্ত হতে পারে। কবে তালিকা প্রকাশ করা হবে তা শিক্ষামন্ত্রী জানাবেন।
তিনি বলেন, এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী যারা কাম্য শর্ত পূরণ করেছেন ও প্রাপ্ত তথ্য মাঠ কর্মকর্তারা সঠিক বলে নিশ্চিত করেছেন সেসব প্রতিষ্ঠানের নাম যুক্ত করা হয়েছে। ভুল যাতে না হয় আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। আগামী এক থেকে দুই সপ্তাহ পর আবারও একটি সভা করা হতে পারে। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী খসড়া তালিকা চূড়ান্ত করলে তা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই তা প্রকাশ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে সেগুলো সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে, আমরা নিজেরা যাচাই-বাছাই করেছি। সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে তথ্য আনা হয়েছে। যাদের শর্ত পূরণ করেছে ও যাচাই-বাছাইয়ে সঠিক পাওয়া গেছে সেসব প্রতিষ্ঠানকে খসড়া তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এটি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে তুলে দেওয়া হবে। বরাদ্দ অর্থ অনুযায়ী তিনি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নির্ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবেন।