দেশের খবর: দূর গ্রামে উৎপাদিত পণ্যের দাম ঢাকায় এসে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেড়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (৪ এপ্রিল) দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রথম সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
টিপু মুনশি বলেন, গত সপ্তাহে রংপুরে ১০ টাকা দরে যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ঢাকায় সেটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। একই অবস্থা অন্যান্য শাকসবজির ক্ষেত্রে। এ পরিস্থিতি দূর করতে সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত করার দরকার।
তিনি বলেন, বর্তমানে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর মোট চাহিদার ৩০ শতাংশ টিসিবির হাতে রয়েছে। তবে বিশ্ববাজারে কোনো পণ্যের দাম বাড়লে সে বিষয়ে সে বিষয়ে কিছু করার থাকে না।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর পুরোপুরি লেগে রয়েছে। ভোজ্যতেলে সরবরাহ আদেশ (এসও) বাস্তবায়নের একটি সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য না নিলে এসও বাতিল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নেওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পাইকারি পর্যায়ে ১৫৮ বা ১৫৯ টাকায় ভোজ্যতেল ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়েও দাম কমেছে। দেশে লাখ লাখ দোকানে ভোজ্যতেল বিক্রি হয়। দুয়েক জায়গায় ব্যতিক্রম থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ পর্যন্ত ৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়ে ৭৫ হাজার টন ভোজ্যতেল দেশে আমদানি হয়েছে। এরপর ৭ বা ৮ দিনে আরও ১৫ হাজার টন তেল দেশে এসেছে।
বাজারে বিভিন্ন গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। টাস্কফোর্সের সভায় এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতিও বিষয়টি তুলেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।