বিদেশের খবর: অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের মতো ভারত ও মালয়েশিয়া গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে বিশ্বজুড়ে খাদ্য সংকট ত্বরান্বিত হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে উচ্চ মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য সংকটের সূচনা হয়।
নিজেদের সুরক্ষার জন্য ভারত এরই মধ্যে গমের রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। দেশটি এখন পূর্ব সতর্কতা হিসেবে চিনি রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। গত বছর ব্রাজিলের পরই সবচেয়ে বেশি চিনি রপ্তানি করে ভারত। বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও দুবাই হচ্ছে ভারতীয় চিনির অন্যতম ক্রেতা।
সিঙ্গাপুরের অন্যতম জনপ্রিয় খাবার চিকেন রাইস। কিন্তু মালয়েশিয়া রপ্তানি সীমাবদ্ধ করার পরে এর দাম বাড়তে চলেছে। যদি দেশগুলো রক্ষণবাদী আচরণ করে তাহলে সবার জন্য উদ্বেগ বাড়বে বলে জানান ওভারসি-চাইনিজ ব্যাংকিং কর্পোরেশনের ট্রেজারি রিসার্চ অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজির প্রধান সেলিনা লিং।
থাই চিনি, মুরগির মাংস ও চালের উৎপাদনকারীরা লাভবান হবে বলে মনে হচ্ছে। কারণ এই বছর দেশটিতে ভালো ফলন হয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিলের মানুষ মহামারির কারণে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেখা দিয়েছে ক্ষুধা ও দরিদ্র।
যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি সত্ত্বেও ভোক্তাদের ব্যয় সন্তোষজনক হারে বাড়ছে। এদিকে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে চীনের অর্থনীতি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
ব্লুমবার্গের নতুন গবেষণা দেখা গেছে, বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধ বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব এখন দ্বিমুখী সমস্যার সম্মুখীন।
পাকিস্তান, ঘানা, ইসরায়েল, নাইজেরিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও গুয়াতেমালার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সপ্তাহে সুদের হার বাড়িয়েছে। রাশিয়ার নীতিনির্ধারকরা অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রয়াসে সুদরে হার কমিয়েছে।
চীনে এখনো অব্যাহত রয়েছে লকডাউন কার্যক্রম। যার কারণে দেশটির অর্থনীতি এখনো নিম্নমুখী। বন্ধ হয়নি করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের চোখ রাঙানি।
ব্রাজিলে খাদ্য ও পরিবহন খরচ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। দেশটিতে সুদের হার আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েই চলছে। লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যসহ সব জিনিসের দাম। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। ইউরোপের দেশগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে