বিশেষ ডেস্ক: গরু পাচার নিয়ে সিবিআইয়ের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি (CID) তদন্ত চালাচ্ছে। আর এবার গরু, সোনা ও কয়লা পাচারে যুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হলো বসিরহাটের ব্যবসায়ী আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে। শুক্রবার বিকেলে তাঁকে বসিরহাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সম্ভবত শনিবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
উল্লেখ্য, এই বারিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকপতি বিপুল অংকের টাকা চাঁদচজির অভিযোগও রয়েছে। ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানির সাথে যুক্ত ব্যবসায়ীদের অনেকেই বলছেন, বারিক বিশ্বাসের কাছ থেকে ঐ চাঁদার টাকার একটি অংশ দেশের প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সিএন্ডএফ নেতৃবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধির কারও কারও কাছে আসে। ভোমরা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা অংশে ট্রাকের সিরিয়ালের নামে এই চাঁদাবাজির কারণে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি ব্যয় বেঢ়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত এই বর্ধিত টাকা সাধারণ ভোক্তাদের পকেট থেকেই যায়।
এদিকে জানা যাচ্ছে, ধৃত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শুধু গরু পাচার নয়, কয়লা ও সোনা পাচারের অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে ভারতে সিআইডির অনুমান যে বিপুল সোনা উদ্ধার হয়েছে এসএসসি দুর্নীতি তদন্তে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে, তার সঙ্গে যোগ রয়েছে অভিযুক্ত আব্দুল বারিক বিশ্বাসের। আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে এর আগে সিবিআই তলব করেছিল। সিআইডি গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে আব্দুল বেআইনি ব্যবসাও চালাত। তবে সিআইডি গোয়েন্দারা মনে করছেন, আব্দুল বারিক বিশ্বাসকে যদি ইডি হেফাজতে নিত, তাহলে এসএসসি দুর্নীতির আরও অনেক কিছু তথ্য সামনে আসত। আপাতত সিআইডি আব্দুল বারিক বিশ্বাসের কাছ থেকে কি কি তথ্য জানতে পারে সেটাই দেখার।