নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাঙ্গায় অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আজিজুর ও রাজাকারপুত্র শফিকুল কর্তৃক অসহায় নিরিহ মানুষকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন, সদরের পায়রাডাঙ্গা গ্রামের মৃত রাজাউল্লাহ’র পুত্র রবিউল সরদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা শিবপুর ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছিলাম।
সম্প্রতি একই এলাকার মৃত. জালাল উদ্দীনের পুত্র সেনা সদস্য আজিজুর রহমান অবসর গ্রহণ করে এলাকায় এসেছেন। এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে দিশেহারা করে তুলেছে। বিশেষ করে গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বর পদে ভোটে অংশগ্রহণ করেন আজিজুর রহমান। ভোটে পরাজিত হওয়ার পর যারা তার বিরোধীতা করেছিল তাদের হয়রানিসহ নানান অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।
তার সাথে যুক্ত হয়েছে তারই চাচাতো ভাই রাজাকার মৃত. আব্দুর রাজ্জাকের পুত্র শফিকুল ইসলাম। বিভিন্ন বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ওই সব মিথ্যা মামলায় আটকের ভয় দেখিয়ে এলাকার অসহায় নিরিহ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এদের মধ্যে ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী মোল্যাকে মারপিট করে উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, নির্বাচনের পর মসজিদ থেকে ওহাব, মান্নানসহ অনেক মুসুল্লীদের বের করে দেওয়া, তবিজরের বাড়িঘর ভাংচুর, গাছপালা কেটে নিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা এছাড়া বাড়ি থেকে আতাউর কে ধরে নিয়ে মারপিট করে মিথ্যা নাশকতা মামলায় জড়িয়ে দেয়া। প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে ইসরাফিলের নিকট থেকে প্রায় ৭০ হাজার, আক্তারের নিকট থেকে ৫০ হাজার ,আস্কারের নিকট থেকে ১লক্ষ, কালামের নিকট থেকে ৮০ হাজার, সাজ্জাদ হোসেনের নিকট থেকে ১লক্ষ ,ইসলামের নিকট থেকে ৭০ হাজার, অহিদুলের কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা এবং সবুজ মোল্লার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করে। নির্বাচনে পরাজয়ের পর স্থানীয় আব্দুস সালাম ও কালামের বাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। পায়রা ডাঙ্গা বিলে আজিজুলের একটি দেড় বিঘার মৎস্য ঘের রয়েছে। ঘেরটি লীজ দিয়েছে স্থানীয় আব্দুল ওহাব দফাদারের কাছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ওহাব দফাদারের ঘেরে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির সবজি গাছ রাতের আধারে কে বা কারা কেটে দেয়। এবিষয়ে ওহাব দফাদার বলেন, গভীর রাতে কে বা কারা কেটেছে আমি দেখিনি। সুতরাং কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবো। অথচ এবিষয়টিকে পুঁিজ করে এবং নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার প্রতিশোধ হিসেবে পুত্র কবির হোসেন এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে আজিজুর। যার ঘেরে ক্ষতি হয়েছে তিনি কোন অভিযোগ না করলেও অতি উৎসাহি হয়ে আজিজুর থানায় অভিযোগ করে আমাদের দিশেহারা করে তুলেছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাদের টাকা ফেরত দেওয়াসহ এলাকায় শান্তি স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।