এম. বেলাল হোসাইন : ২ বছর ধরে নিখোঁজ বাঁশদহা আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভী আবু তাহের জিয়াউদ্দিন মোঃ ইউসুফ। দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকায় ২১ অক্টােবর’১৪, ১৫ নভেম্বর’১৪ ও ৩১ নভেম্বর, ১৪ তারিখ ৩ দফায় মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থাকার সুস্পষ্ট জবাব দিয়ে প্রতিষ্ঠান যোগদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তারপরও প্রতিষ্ঠানে যোগদান বা উপস্থিত হননি ওই শিক্ষক এটিজেডএম ইউসুফ।
ইউসুফ যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের আব্দুল বারী ওয়াদুদী’র ছেলে।
এবিষয়ে বাঁশদহা আলহাজ্ব মােহাম্মাদ আলী দাখিল মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই শিক্ষক বিগত ১৩ সেপ্টেম্বর’১৪ সালের পর থেকে মাদ্রাসায় আসেন না। তবে সর্বশেষ গত ১৮ অক্টােবর’১৪ পর্যন্ত মাদ্রাসার হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর পাওয়া যায়।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার কারণে নোটিশ প্রদানের পরও কােন খবর না পেয়ে গত ১৬ জানুয়ারি’১৫ সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কাফেলা ও ১৭ জানুয়ারি’১৫ ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক খবরপত্র পত্রিকায় চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হয়। এরপর গত ০২ ফেব্রুয়ারি’১৫ তারিখ শিক্ষক এটিজেডএম ইউসুফ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে হাজির হলে তার সম্মতিতে এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি’১৫ তাদের দিন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু তদন্তের পূর্বেই ৫ ফেব্রুয়ারি শারিরীক অসুস্থতার কারণ দেখান ওই শিক্ষক। তখন তদন্তের তারিখ পরিবর্তন করে ৯ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেন উপজলা শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদীন। অথচ ৯ ফেব্রুয়ারিও তিনি উপস্থিত হতে অপারগতা প্রকাশ করে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণের জন্য অনুরােধ জানান। সে মোতাবেক ১৫ ফেব্রুয়ারি’১৫ তারিখ তদন্তের জন্য বাঁশদহা আলহাজ্ব মাহাম্মদ আলী দাখিল মাদরাসায় গেলে ওই শিক্ষককে পাননি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। এটিজেডএম ইউসুফ এর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও যোগাযােগ করতে না পেরে এ বিষয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি’১৫ তারিখে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
এবিষয় উক্ত মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোহাম্মাদ রিয়াজুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ১৮ অক্টােবর’১৪ পযর্ন্ত তিনি উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায়। মটরসাইকেল যােগে এসে তিনি কমর্স্থলে যোগ দিতেন। তবে তিনি সাতক্ষীরার কোথাও থাকতেন কি না সে বিষয়ে আমাদের সাথে ওই শিক্ষক কিছু বলেন নি। এ বিষয়ে আমরা তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এড়িয়ে যেতেন। এছাড়া ওই তারিখের পর থেকে আমরা কেউ তাকে আর দেখিনি। ওই শিক্ষক জামায়াত বা কোন সংগঠনর সাথে জড়িত ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কােন রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন কি না সে বিষয়ে আমার জানা নেই।