নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: সৈয়েদ আলী মন্ডল এর মরদেহ উদ্ধারের প্রকৃত ঘটনা তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা ও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং সর্বস্তরের মানুষের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিক আহমদের সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা জি এম আব্দুল গফুরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,সাতক্ষীরা সিটি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. মোস্তফা নুরুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিললুর করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি এম আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান কল্যাণ ব্যণার্জি প্রমূখ।
এসময় বক্তারা বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে বলেন, সাতক্ষীরা মেডিকেলের মত প্রতিষ্ঠানে মাসের পর মাস লিফট নষ্ট থাকলেও কর্তৃপক্ষ নিরব কেন? তাছাড়া নষ্ট থাকলে সেটি স্থায়ীভাবে কেন বন্ধ রাখা হয়নি। এই মৃত্যুর দায় কোন ভাবেই সাতক্ষীরা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারেন না। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকসহ কর্মচারীরা নিজেদের কে বড় কিছু মনে করেন। তারা নিজেদের পটেকভারী করতে ব্যস্ত। মুক্তিযোদ্ধাসহ সাধারণ মানুষ হাসপাতাল থেকে পরিপূর্ণ সেবা পায় না। ঔষধ পায় না। অথচ কর্মচারীরা ব্যাগ ভর্তি করে ঔষধ বাড়ি নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা ব্যস্ত নিজেদের চেম্বার নিয়ে।
আজ যারা মেডিকেলের পরিচালক হয়েছেন, বড় কর্মকর্তা হয়েছেন। মনে রাখবেন দেশ স্বাধীন না হলে আপনারা কিছুই হতেন না। আর সেই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এত অবহেলা কেন। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, মেডিকেলের সাইকেল গ্যারেজ নিয়েও বাণিজ্য হয়েছে। ৩ জনের বেশি কেউ টেন্ডার দিতে পারেন নি। কৌশলে টেন্ডার নেওয়ার সাথে সাথেই গ্যারেজে বাইক রাখলেই দিতে হবে ২৫ টাকা। বাইসাইকেলের জন্য ১০ আদায় করা হচ্ছে। এ যেন মগের মুল্লুক। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান এখন বাণিজ্য কেন্দ্র পরিণত হয়েছে। বক্তারা এসব বাণিজ্য বন্ধ করে সরকার প্রদত্ত সেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া বুধবার সৈয়দ আলীর মৃত্যু রহস্যের তদন্তের দাবিতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এবং স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষনা দেন বীর মুক্তিযোদ্ধাগন।
এদিকে নিহত বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা আজ থানায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কায়ুম বলেন, নিহতের পুত্র একটি এজাহার জমা দিয়েছেন। আমরা মামলা গ্রহণ করবো।