নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে দখলীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ এবং গাছগাছালি কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগী সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে,কাটিয়া এলাকার মৃত. আলহাজ¦ গোলাম আকবর জীবদ্দশায় তার ৭ পুত্রের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন রেজি: কোবলা মূলে সম্পত্তির বন্টন পূর্বক হস্তান্তর করেন।
পিতার মৃত্যুর পর উক্ত সম্পত্তি আপোষ চিহ্নিত মতে শান্তিপূর্ণভাবে তার পুত্ররা ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু গত ১৫ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মো: মহসীন নামের এক ভাই ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বন্টনকৃত সম্পত্তির মধ্যে হতে শরিফ ফাঁকি দিয়ে ইচ্ছামত সম্পত্তি নিজের দাবি করে ঘেরাবেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে অন্য ভাইয়েরা বাধা দেওয়ায় মো: মহসীনসহ তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর লোকজন খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় ভাইদের পক্ষ থেকে আবুল বাসার সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নং-১৩২৬। এ ঘটনায় মো: মহসীন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর ২২ তারিখে মো: মহসীনসহ তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর লোকজন আবুল বাসারকে হাত পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল বাসার বাদী হয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং- পি ২১০৩/২২। উক্ত মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত উক্ত সম্পত্তিতে প্রবেশ বারিতাদেশ প্রদান করেন এবং শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী সাতক্ষীরা সদর থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে মামলা নং-পি- ২১০৩/২২(সাত:) ধারা-১৪৫ ফৌ:কা:বি: স্মারক নং ৩১৭২ মোতাবেক উভয় পক্ষকে আদালতের নির্দেশে বর্ণিত সম্পত্তিতে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে দখল গ্রহণ না করতে বারিত থাকার নোটিশ দেন এবং আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে ভঙ্গকারী পক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জনান।
কিন্তু অবৈধদখলকারী মো: মহসীন আদালতের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইচ্ছামত উক্ত সম্পত্তি থেকে বাঁশ কাটা, গাছপালা কাটা এবং বালু ভরাট করে পাকাস্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এতে বাধা দেওয়া হলে উল্টো বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন মো: মহসীন। আদালত অবমাননা করে শ্রমিক নিয়োগ করে কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এবিষয়ে কাটিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমি উভয়পক্ষকে সেখানে না যাওয়ার জন্য বলেছি। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলেই অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আদালতের বারিতাদেশ থাকার পরও যদি তিনি সেখানে কাজ করেন তার বিরুদ্ধে আরো একটা মামলা হতে পারে।
ভুক্তভোগী আবুল বাসার আদালতের নির্দেশ অমান্যকারী মহসীনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।