নিজস্ব প্রতিনিধি:
মাধবকাটিতে সরকারি সম্পত্তি মাটি ও বালু বিক্রেতা ওয়ারেশ আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরকৃত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।
এলাকাবাসী জানান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাধবকাটি এলাকার মাধবকাটি মৌজায় জে এল নং ৮১ এবং ২৩২ ও ২৯৪ নং এস এ খতিয়ানে ক তপশীল ভুক্ত অ-ইজারাভুক্ত ভিপি সম্পত্তি (খালের জমি) থেকে দীর্ঘ ১০/১২ বছর যাবত পাইপ বসিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি এবং মাটি বিক্রয় করে আসছেন মাধবকাটি গ্রামের মৃত মাদার মোড়ল উরফে পাগলা মোড়লের পুত্র ওয়ারেশ আলী মোড়ল। ইচ্ছামত মাটি কাটা এবং বালি বিক্রয় করার কারনে যে কোন সময় বড় ধ্বংসের সৃষ্টি হতে পারে এমন আতংক দেখা দেয় এলাকাবাসীর মধ্যে। কিন্তু এবিষয়ে তাকে সতর্ক করলেও কারো কথা না শুনে রাস্তা কেটে, খালে ধারের মাটি কেটে এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রয় করে আসছিলেন ওয়ারেশ আলী।
এবিষয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারী২০ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো: নুরুল আমিন ৩১.৪৪. ৮৭০০.০২১.০৩.০০২.২০-৩৪৭নং স্মারকে অভিযুক্ত ওয়ারেশ আলীকে সতর্ক করা হয় এবং পুনরাবৃত্তি ঘটলে জরিমানার নির্দেশক্রমে সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাতক্ষীরা সদরকে প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।
কিন্তু কিছুদিন পর পুনরায় ওয়ারেশ আলী সম্পত্তি থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রয় শুরু করে। এলাকাবাসী বিষয়টি আবারো জেলা প্রশাসনকে অবগত করালে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষনিকভাবে মাটি বিক্রয় বন্ধ করেন ওয়ারেশ আলী।
তবে আবারো মাটি বিক্রির পায়তারা শুরু করেছেন ওয়ারেশ আলী। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইট ভাটা মালিকদের প্রতিনিধিদের সেখানে নিয়ে মাটি বিষয়ে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা করেছেন বলে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী দাবি করেছেন। ওই মাটি খাদক ওয়ারেশ আলী সেখান থেকে যাতে আর কোন ভাবেই মাটি বিক্রয় করতে না পারে সে বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।