নিজস্ব প্রতিনিধি : ২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের দু’টি মামলার সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন একজন ।
মঙ্গলবার ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রথম সাক্ষ্য দেন আসামী আব্দুর রাকিবের পিতা কলারোয়ার গোলাম মোস্তফা। আগামী ১৬ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে। সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল -৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এর আগে সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামীকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়।
সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইবু্যুনাল-৩ এর বিজ্ঞ বিচারক বিশ^নাথ মন্ডলের আদালতে আসামী পক্ষের সাফাই সাক্ষী শুরু হয়। আজ আসামী পক্ষের একজন সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। এমামলায় ২৩ জন সাফাই সাক্ষী দেবেন বলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাদেরকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জেরা করবেন পিপিসহ তার সহযোগি আইনজীবিরা।
আসামী পক্ষে ছিলেন এ্যাড. আব্দুল মজিদ,শাহানা আক্তার বকুল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত,২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন। এঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্র“য়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা প্রদান করেন সাতক্ষীরার চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।