রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে মাটির নিচে চাপা পড়া এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে শুক্রবার সকালে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে সেনাবাহিনী।
তবে পার্বত্য এলাকায় এখনো তীব্রভাবে রয়েছে জ্বালানি ও খাদ্যসংকট। বিগত কয়েকদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খাবার।
বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে রাঙামাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও সেটা নিরবিচ্ছিন্ন নয়। কখনো আসছে কখনো যাচ্ছে, মোবাইল নেটওয়ার্কও মিলছে মাঝে মাঝে।
চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড় ধস ও ব্যাপক প্রাণহানীতে পাহাড়ে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এ পর্যন্ত দেড়শ’র বেশি প্রাণহানী হয়েছে। এখনো মাটি চাপা পড়ে আছে অনেক। পাহাড় ধসে রাঙামাটির সাথে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের যোগাযোগ বন্ধ আছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ৩৫টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ চালু করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে রাস্তায় হেঁটে চলার উপযোগী করতে পারবে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর ১৯ ইসিবি কোরের নেতৃত্বে গত দুইদিনে চট্টগ্রামের রানীর হাট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়কে ধসে পড়া ১৫টি স্থানে মাটি সরানো হয়েছে।
শালবন এলাকায় প্রায় দেড়শ’ ফিট রাস্তাসহ পাহাড় ধসে পড়ায় সরাসরি সড়ক যোগাযোগ দ্রুত চালু করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সেনা কর্মকর্তা।
সম্প্রতি দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য এলাকায় দুইদিনের অবিরাম বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে পাঁচ সেনা সদস্যসহ দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু ঘটে।
লঘুচাপের প্রভাবে রোববার থেকে সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সোমবার থেকে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-বান্দরবানে শুরু হয় পাহাড় ধস। এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাঙামাটি জেলা। সেখানেই প্রাণ হারিয়েছেন ১১১ জন।