আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নের মোচড়া গ্রামে দাবীকৃত অতিরিক্ত ৫ টাকা ভ্যান ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির জেরে ভ্যানচালকের হাতে মোমরেজুল ইসলাম নামের এক যাত্রী নিহতের ঘটনায় ঘাতক ভ্যানচালক মনিরুজ্জামান মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় এক প্রেব্রিফিং এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আসাদুজ্জামান আসাদ।
এরআগে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের ঘাতক মিন্টুর খালাতো বোন বিউটি খাতুনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী মনিরুজ্জামান মিন্টু (৩৮) মোচড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র এবং নিহত মোমরেজুল ইসলাম একই এলাকার জহুরুল ইসলামের পুত্র।
প্রেসব্রিফিং-এ তিনি জানান, গত ১৯ মার্চ রবিবার রাতে ভ্যানে চড়ে মোমরেজুলসহ চার জন যাত্রী আখড়াখোলা বাজার থেকে মোচড়া মোড়ে আসেন। এ সময় ভ্যান চালক মিন্টু সবার কাছে অতিরিক্ত ৫ টাকা ভ্যান ভাড়া দাবী করে। এ নিয়ে মোমরেজুলের সাথে ভ্যানচালক মিন্টুর কথা কাটাকাটি হয় এবং দুজনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে মিন্টু তাকে উপর্যুপরি মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় মোমরেজুলকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন ২০ মার্চ রাত সোয়া ১ টার দিকে মোমরেজুল মারা যান। এ ঘটনায় নিহত মোমরেজুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন রাশেদ বাদী হয়ে ঘাতক মিন্টুর নামে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে এ ঘটনার পর ভ্যানচালক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে আতœগোপন করে।
তিনি আরো জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘন্টার মধ্যে থাতক মিন্টুকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার থানা পুলিশের একটি চৌকসদল নীলফামারী জেলার ডোমার থানার সোনারায় ইউনিয়নের পূর্ব সোনারায় গ্রামের ঘাতক মিন্টুর খালাতো বোন বিউটি খাতুনের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। গ্রেপ্তাকৃত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।##