নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় তালাক প্রাপ্ত জামাতার অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন একটি অসহায় পরিবার। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি এবং খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকিতে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিপাত করছে ভুক্তভোগী পরিবারটি। এঘটনায় ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। এটি তদন্তের জন্য থানার একজন উপ-পরিদর্শককে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সদর উপজেলার কাথন্ডা কয়ারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদ সরদারের পুত্র মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে পারিবারিকভাবে আমার কন্যা সুবর্ণার সাথে কাশেমপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র শহিদ হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে তার কন্যাকে শহিদ হাসান, তার পিতা খলিলুর রহমান ও মাতা রওশন আরা শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। ইতোমধ্যে কন্যার গর্ভে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হলেও শহিদ হোসেনসহ তার পরিবারের আচার ব্যবহারের কোন পরিবর্তন হয়নি।
উপায়ন্তর হয়ে নিজের জীবন রক্ষার্থে উভয় পক্ষের সম্মতিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে গত ২৪ ডিসেম্বর ২২ তারিখে তালাক দেওয়া হয়। সে সময় শহিদ হোসেন তালাক নামায় স্বাক্ষর করলেও পরবর্তীতে মিজানুর রহমানের কন্যাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া, রাস্তা বের হলে এসিড নিক্ষেপসহ বিভিন্ন হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে হয়রানি শুরু করে। এছাড়া ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে মান অপমানসহ খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে শহিদ হোসেন। তিনি এবিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে রোববার রাত ৯টায় অভিযুক্ত শহিদ হোসেনের ব্যবহৃত নাম্বারে ফোন দিলেও সংযোগটি বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।