নিজস্ব প্রতিনিধি :
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আশাশুনিতে বৃদ্ধাসহ একই পরিবারের দুজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকালে আশাশুনি উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ফারায়েজী সম্পত্তি নিয়ে আশাশুনির নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত তমেজ উদ্দীনের পুত্র আ: আব্দুল মাজেদ সরদারের সাথে একই এলাকার আব্দুল হাকিমের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ৩ মে বুধবার বিকালে মাজেদের নেতৃত্বে ফজর আলী সরদারের পুত্র আ: ছালাম সরদার, মৃত জেহের আলীর পুত্র গোলাম হোসেন, মৃত রউফ গাজীর পুত্র ইসমাইল হোসেনসহ কতিপয় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাঠের ধান কেটে নিয়ে আসার সময় আব্দুল হাকিমের পথরোধ করে অতর্কিত হামলা করে। এসময় আব্দুস ছালাম লোহার রড দিয়ে বৃদ্ধা আব্দুল হাকিমের মাথায় স্বজোরে আঘাত করে। এতে আব্দুল হাকিম অজ্ঞান হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে।
এঅবস্থায় বৃদ্ধা পিতাকে উদ্ধার করতে পুত্র আবু হানিফা এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে হামলাকারীরা। এসময় হানিফার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের হাত থেকে উদ্ধার আবু হানিফা ও তার বৃদ্ধা পিতাকে প্রথম আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে সাতক্ষীরা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। কিন্তু সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির পরও বৃদ্ধা আব্দুল হাকিমের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় এবং ঘন ঘন বমি হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া সিটি স্ক্যান করে বৃদ্ধার মাথার চারপাশ ফেটে গেছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল হাকিমের পুত্র আবু হানিফা বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন
এবিষয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, এধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। আমি ভুক্তভোগীদের এজাহার দিতে বলেছি। তদন্তপূর্বখ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বৃদ্ধা আব্দুল হাকিম চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে শুনেছি। তবে বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলতে পারবো না।