নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ভগ্নিপতির দেওয়া আগুনে ঝলসে যাওয়া শ্যালকের মৃত্যুরপর মারা গেলেন তার স্ত্রী শারমিন(২৫)। আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে ১ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আব্দুল কাদের(৩০)। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদের কন্যা ফাতেমা খাতুন(০৪)।
গত ২৭ মে শনিবার দিবাগত রাতে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন(৩২) উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের শ্যালক আব্দুল কাদেরে ঘরে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে দরজায় তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী শারমিন ও শিশু কন্যা ঝলসে যায়। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘরের তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।
অভিযুক্ত ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন(৩২) যশোর জেলার নারায়নপুর পোড়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল বারীর পুত্র।
পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল কাদের মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, কাদের গাজীর বোন সুফিয়া খাতুনের (২৬) সাথে ভগ্নিপতি সবুজ হোসেন(৩২) এর বিরোধ চলে আসছিল। এর কারণ হিসেবে শ্যালক কাদেরের উপর ক্ষিপ্ত হয় সবুজ। এর জের ধরে শনিবার রাতে সবুজ চন্দনপুর (কাতপুর) গ্রামের হান্নান বিহারীর পুত্র সোহাগ হোসেনের বাড়ীতে অবস্থান করে। ওই রাতে সোহাগের সহযোগিতায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আব্দুল কাদেরের ঘরে মধ্যে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন জ¦ালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
২৮ মে আব্দুল কাদেরে বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার ২নং আসামী সোহাগ হোসেন কে ওই দিনই আটক করে পুলিশ।
চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: ডালিম হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই হৃদয় বিদারক। ভগ্নিপতি সবুজের দেওয়া আগুনে ১ জুন আব্দুল কাদের মারা যান। আজ ভোরে তার স্ত্রী শারমিনও মারা গেছেন।
কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, আগুনে দগ্ধ আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর পর আজ তার স্ত্রীও মারা গেছেন। আমরা মামলার একজন আসামীকে আটক করেছি। মামলার এক প্রধান আসামীকে গ্রেফতারের পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।