আসাদুজ্জামান : চট্টগ্রাম বন্দর এলাকা থেকে শিশু অপহরনের ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রপাপ্ত আসামী সাতক্ষীরার কলারোয়ার সাজ্জাত কবির মজুমদার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে পালিয়ে থাকার পর অবশেষে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার রাতে র্যাব-৬এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পের একটি চৌকস দল ঢাকার মহানগর বাড্ডা থানাধীন মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। সোমবার বিকালে র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জে.এম গালিব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রপাপ্ত সাজ্জাত কবির মজুমদার কলারোয়া উপজেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোঃ সাজ্জাত কবির মজুমদার ১৯৯৮ সালে চট্রগ্রাম বন্দর এলাকা হতে একটি শিশুকে অপহরন করে। একপর্যায় অপহৃত শিশুকে নিয়ে ট্রেনে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় চট্রগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ অপহৃত শিশুকে উদ্ধারসহ অপহরনকারী সাজ্জাত কবিরকে গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে অপহৃত শিশুর বাবা বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১৯৯৫ সনের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামী উক্ত মামলায় বেশ কিছু দিন জেল খাটার পর জামিন পায়।
এর পর থেকেই আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নাম পরিবর্তন করে প্রায় বিশ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতে থাকে আসামী সাজ্জাত কবির। এরই মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে এ মামলার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিচারকার্য শেষে আসামী সাজ্জাত কবির মজুমদারকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের সদস্যরা গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে রোববার রাতে র্যাব-৩ এর সহায়তায় ঢাকার মহানগর বাড্ডা থানাধীন মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।
র্যাব সাতক্ষীরা ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর জে.এম গালিব হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরার কলারোয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।##