কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা : সাতক্ষীরার দেবহাটায় মায়ের উপর অভিমান করে ৫ম শ্রেনীতে পড়–য়া এক শিশু পুত্র গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শিশুটির বাড়ি দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুর গ্রাামে। নিহত শিশুটির নাম তৌফিক হোসেন (১২)। তার পিতার নাম আমজাদ হোসেন। তিনি উপজেলার সখিপুর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী।
নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, তৌফিক মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যাবে না বলে মায়ের সাথে ঝামেলা করে ঘরের দরজা আটকে ভিতরে বসে থাকে। এছাড়া গত বছর ৪র্থ শ্রেনীতে তার রোল নং ছিল ৫ আর এবছর তার রোল হয়েছে ৬। এজন্য নিহত তৌফিকের মন ভাল ছিলনা।
এবিষয়ে এর আগেও ঝামেলা করে ঘরের দরজা আটকে রেখে বসে থাকতো আবার কিছু সময় পওে সে বের হতো। সেই জন্য মঙ্গলবারেও পরিবারের সবাই মনে করেছিল তার অভিমান কমে গেলে সে ঘর থেকে বের হয়ে আসবে। আর এই খোজ না করাটাই কাল হয়েছে শিশুটির জন্য। পরবর্তীতে যখন দুপুরের দিকে তাকে গোসল করার জন্য ডাকা হয় তখন ভিতর থেকে কোন সাড়া না পাওয়া গেলে ঘরের জানালা ভেঙ্গে দেখা যায় ফ্যানের সাথে তৌফিকের নিথর দেহ ঝুলে আছে। পরবর্তীতে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে বের করে তাকে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এবিষয়ে সখিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত শিশুটির পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হওয়ায় সে গত কয়েকদিন ধরে মানষিক কষ্টে ছিল। এনিয়ে তার মন খারাপ থাকায় সে স্কুলে যেতে চাইছিলনা। শিশুটির পিতা মুদি দোকানের ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার সে অভিমান করে ঘরের মধ্যে ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
সখিপুর চেয়ারম্যান আরো জানান, নিহত তৌফিক তার পিতা মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান ছিল। তারা ৪ ভাইবোনের মধ্যে বড় তিনটি বোন আছে। এ হ্নদয় বিদারক ঘটনায় নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসীর মধ্যে শোক বিরাজ করছে।