প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
আশাশুনিতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীদের নির্দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোত্তালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন আশাশুনির দেয়াবর্ষিয়া গ্রামের মৃত প্রফুল্ল্যের পুত্র নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আশাশুনি থানাধীন ৫নং বড়দল ইউনিয়ন ও ৮০৭২ খাজরা ইউনিয়নের নদী ও খাল সুরক্ষা নাগরিক কমিটির আহবায়ক হিসাবে নদী সুরক্ষা আইনে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের দায়িত্বে আছি। আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। এতে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় সাবেক চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমসহ তার সঙ্গীরা। নির্বাচন আসলেই বরাবরই সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়।
রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিমের নির্দেশে তার ভাই মোঃ জুলফিকার আলী (জুলি) (৫০) পিং-মৃত মোজাহার উদ্দীন, মোঃ সাকিল মোড়ল (২৬) মোঃ ভুলু মোড়ল (২৩) উভয় পিং-মোঃ সৈয়দ আলী মোড়ল, উভয় সাং-কাপসন্ডা, সর্ব থানা-আশাশুনি, জেলা-সাতক্ষীরা সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন এলাকার চিহ্নিত হত্যা, নাশকতা, ডাকাতি, বোমাবাজি সহ একাধিক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী কাপসন্ডা বাজারে আমাকে পেয়ে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। আমি তখন মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করা সহ এখানে কোন রাজনৈতিক বিষয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে না বলিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অতর্কিত ভাবে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুসি মারা সহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দেয়। এসময় তারা বলতে থাকে নির্বাচনের পরে এলাকায় কি ভাবে থাকিস আমাকে দেখে নিবে বলিয়া ভয়ভীতি দেখায় চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, খাজরার কোথায় একটি রাস্তা ঘাট নেই। সাধারণ মানুষ আজ নির্যাতিত, সুপেয় পানির ব্যবস্থা নেই, এমনকি পানি নিষ্কাসনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ১০ হাজারের অধিক জমিতে এবছর কেহই ধান চাষ করতে পারেনি। খাজরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী ডালিম ও তার বাহিনী সম্পর্কে আপনারা অবগত আছেন। তারা একাধিক হত্যা, ডাকাতি, বোমাবাজী ও নাশকতা মালার আসামী। ইতোমধ্যে ন্যায় বিচার চেয়ে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসার ও আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ভোটের পূর্ব মুহুর্তে এধরনের হামলার ঘটনায় ন্যায় বিচার চেয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। ##