নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরে বিক্ষুব্ধ জনতা ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরের সাথে সংঘর্ষে জাকিরসহ ৪ জন নিহত হয়েছে। সোমবার রাত ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে জাকিরের গুলিতে হাফেজ আনাস বিল্লাহ ও আদম আলী নামের দুই জন বিক্ষুব্ধ জনতার মৃত্যু হয়েছে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা চেয়ারম্যান জাকিরের বাড়িতে আগুন দেয়। বিক্ষুদ্ধ জনতার গণপিটুনিতে এসময় আওয়ামী লীগ নেতা জাকির ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর মারা গেছেন।
এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা শহরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স,ট্রাফিক অফিসসহ বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শোনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা এসব ঘটনা ঘটায় । এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলা কারাগারে প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন সেলের তালা ভাঙচুর করে আসামিদের বের করে নিয়ে গেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় জেলা কারাগার এলাকায় বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়।
এদিকে, সোমবার বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনগণ প্রথমে শহরের পাকা পোলের মোড় সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কমপ্লেক্সসহ বেশ কয়েকটি দোকান আগুনে ভস্মিভুত হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনগণ সুলতানপুরে সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সৈয়দ কামাল বখত ছাকীর বাসভবন ভাঙচুর করে। এরপর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তালার আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ সাধু ও সনদ ঘোষের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বিক্ষুব্ধ জনতা সাতক্ষীরা পুলিশের ট্রাফিক অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর সদর থানা গেটসহ বাইরের স্থাপনায় ভাঙচুর করে। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ ও কলারোয়ায় সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনগণ।##
০৫.০৮.২৪