প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় আপন ও বে-মাতা ভাইয়ের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া লোকজনের সহযোগিতায় অরেক ছোট ভাইয়ের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনী গ্রামের মোঃ বাবর আলী মোড়লের ছেলে মোঃ মুজিবর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পাটকেলঘাটা থানার বাইগুনী মৌজায় ৭৯৯ নং দাগে ১.১১ শতকের মধ্যে .৪৩ শতক জমি পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ১৯৬৪ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছি। কিন্তু বিগত ২০১৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর আমার ভাই শহিদুল আলম, বে-মাতা ভাই আরশাদ আলী, বাইগুনী গ্রামের ছালাম বিশ^াসের ছেলে আ’লীগ নেতা জামাল বিশ^াস, আবুল খায়েরের ছেলে রফিকুল বিশ^াসসহ বেশ কয়েকজন আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে জমির মূল দলিলপত্রসহ মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে। পরে আমাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে স্থানীয় আদিত্য কুমারের বাড়িতে ফেলে অস্ত্রেও মুখে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে আমার সন্তানসহ স্থানীয় লোকজন তাদের কাছ থেকে আমাকে উদ্ধার করে। আমার ভাই শহিদুল আলম এবং বেমাতা ভাই আরশাদ এর প্রাপ্ত সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে আমার সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন। এ জন্যই তারা আমাকে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির চেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,এসব ঘটনার পর বিগত ২০১৯ সালের ৬ জুন আমি সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিচারক তদন্ত পূর্বক আমার পক্ষে রায় প্রদান করে। রায় প্রদানের পর কিছুদিন তারা থেমে থাকলেও আবারো বিভিন্নভাবে চক্রান্ত শুরু করেছে। এক পর্যায়ে তারা অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালতে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মাললায়ও তদন্ত পূর্বক আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন আদালত। এরপরও জামাল, রফিকুল, ফারুক, কামাল, জামশের মেম্বরসহ আওয়ামীলীগ নেতাদের নেতৃত্বে তারা অবৈধভাবে ফের আমার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাইকে জানালেও আ’লীগ নেতাদের চাপের মুখে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মুজিবর রহমান বলেন, বিজ্ঞ আদালতের রায় আমাদের পক্ষে থাকলেও উল্লেখিত ব্যক্তিরা আইন ও আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি রায় বের করে। এঘটনায় আমরা আদালতে জালিয়াতির মামলাও দায়ের করি। আমাদের মূল দলিলগুলো লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার কারনে আমরা জজকোর্টেও যেতে পারছি না। বছরের পর বছর ধরে হয়রানির শিকার হচ্ছি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভূমিদস্যু জামাল, কামাল, রফিকুল, আরশাদ, ফারুক ও জামশের আমার সম্পত্তি দখল করে প্রাচীর নির্মান করে। বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে তারা ওই প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তাদের ভয়ে আমরা ওই সম্পত্তিতে যেতে পারছি না। বিশেষ করে থানা পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ায় আমরা বর্তমানে চরম আতংকের মধ্যে দিনপার করছি। তিনি তার পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং নিজের সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।