নিজস্ব প্রতিনিধি :
চাঁদা না দেওয়ায় বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগে সাতক্ষীরা সদর থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম, এস আই তারিকুল ইসলামসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সাতক্ষীরা আমলী ১ নং আদালতে ভুক্তভোগী বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের ওয়াছের আলীর পুত্র কুদ্দুস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সদর থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম, এস আই তারিকুল ইসলাম সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, বালিয়াঙ্গা গ্রামের হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন, হাফিজুল ইসলামের পুত্র হাবিবুর রহমান, মৃত ছামসুদ্দীনের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীরের পুত্র জাহিদ হোসেন, কুচপুকুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন, আফসার আলীর পুত্র ইয়াছিন আলী, মৃত সিরাজুল ইসলামের কন্যা লাভলী, মনিরুল ইসলামের পুত্র শাহিন হোসেন ও শামীম হোসেন। মামলার বিবরনে জানা গেছে, ২০১৯ সালে তৎকালিন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কুদ্দুসের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি ১ লক্ষ টাকা দিলেও পর বাকী ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ১৯ সালের ২৫ জুলাই মহিদুলের নেতৃত্বে এস তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামীরা কুদ্দুসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট এবং ভাংচুর করে। দীর্ঘ সময় ধরে তার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সে সময় উপযুক্ত পরিবেশ না থানায় ভুক্তভোগী মামলা করতে পারেনি। বর্তমানে অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি ন্যায় বিচারের আশায় এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী।
একই অভিযোগে আমলী ১ নং আদালতে তানিয়া খাতুন ওরফে আফরোজা খাতুন বাদী হয়ে সদর থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহিদুল ইসলাম, এস আই তারিকুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। অন্যান্য আসামীরা হলেন, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আহম্মদ সরদারের পুত্র গফফার, হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী রাবিয়া খাতুন, হাফিজুলের পুত্র হাবিবুর রহমান, মৃত ছামসুদ্দিনের পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীরের পুত্র জাহিদ হোসেন, মৃত সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুন, আফসার আলীর কন্যা ইয়াছিন আলী, রসুলপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুনের পুত্র মেহেদী হাসান, মনিরুল ইসলামের পুত্র শাহিন হোসেন, শামিম হোসেন এবং কুশখালী এলাকার সাবেক পুলিশ সদস্য বাবু।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তানিয়া খাতুনের স্বামী ইদ্রিস মোড়ল বিএনপি কর্মী হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম ২০১৯ সালে তার স্বামীর কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি ১ লক্ষ টাকা দিলেও পর বাকী ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় ১৯ সালের ২৫ জুলাই মহিদুলের নেতৃত্বে এস তারিকুল ইসলামসহ অন্যান্য আসামীরা বাদীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট এবং ভাংচুর করে। দীর্ঘ সময় ধরে তার বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। সে সময় উপযুক্ত পরিবেশ না থানায় ভুক্তভোগী মামলা করতে পারেনি। বর্তমানে অনুক‚ল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি ন্যায় বিচারের আশায় এ মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী। ###