আশাশুনি ব্যুরো:
আশাশুনির উত্তর চাপড়ার ত্রাস সম্প্রতি জাকারিয়া হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামী ভুমিদস্যু ইউপি চেয়ার্ম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের গ্রেপ্তার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি।
বুধবার বেলা ১১টায় মহেশ্বরকাটি মৎস্যসেটে উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ায় হত্যার শিকার জাকারিয়া সরদারের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে তার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর দীর্ঘ সময় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেম্বর হাফেজ রবিউল ইসলাম। মানববন্ধনে কান্না জড়িত কন্ঠে বক্তব্য রাখেন নিহতের ভাইপো, আব্দুল্লাহ আল বাইজিদ সোহাগ, নিহত পুত্র মোস্তাহিদ হোসেন, বোন রেবেকা খাতুন, জহির উদ্দীন, ইউনিয়ন জামায়েতের আমির মাও: আব্দুস ওয়াদুদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তাগন বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল হক ডাবলুর হুকুমে তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা গত ৮ সেপ্টম্বর জাকারিয়া সরদার ও তার পরিবারের লোকজনদের চানিজ কুড়াল, রড ও লাঠি শোটা নিয়ে মারপিট ও নৃসংশভাবে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এসময় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে। নিহতের বোন বলেন থানা থেকে অভিযোগ দিতে গেলে আমরাদের মামলা নিবে না পুলিশ কারণ চেয়ারম্যান এর পক্ষীয় লোকজন বলাবলি করে বেড়াচ্ছে। বক্তাগন হুকুমদাতা চেয়ারম্যান ডাবলুসহ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে পুলিশ প্রশাসনে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু জানান এটি মুলত: উত্তর চাপড়া মসজিদ কেন্দ্রীক দুপক্ষের মধ্যের ঘটনা। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমি ও আমার পরিবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি। আমি চাই এ ঘটনার সাথে যারাই জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদের যেন শাস্তি হয়। এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, উভয় পক্ষের মারামারিতে অনেকেই আহত হয়। এঘটনায় ইউনুছ সরদার বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেক করে একটি এজাহার দায়ের করেন। উক্ত ১৮ জনের নামীয় এজাহারটি আশাশুনি থানার মামলা নং-০৭ রুজু করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকারিয়া মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করি। আসামীদের ধরার জন্য আমরা অভিযান অবাহত রেখেছি।