শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নিজের বিরুদ্ধে মহা ষড়ডন্ত্র চলছে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জহুরুল হক আ্প্পু। দলীয় কোন্দলের অংশ হিসেবে তাকে রাজনীতির মাঠ থেকে দুরে সরাতে আ’লীগ দলীয় সাবেক এমপি জগলুল হায়দারের সহযোগী আব্দুর রহমান ও মোকছেদকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের জাল বুনা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। ১৯ (সেপ্টেম্বর)বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক জহুরুল হক আপ্পু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন দাবার গুটি হিসেবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল ইসলামকে ব্যবহার করছেন স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ। চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের একটি ‘ভুয়া’ অভিযোগের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা। ভাতিজা হাফিজ আল আসাদ কল্লোলকে যুবদলের সাম্বব্য নেতৃতৃ¦ থেকে সরিয়ে দিতে ষড়যন্ত্রের জালে তাকেও জড়িয়ে দেয়ার চক্রান্ত চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে জহুরুল হক আপ্পু বলেন, সম্প্রতি যুবদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুলের লোকজন এক নারীকে দিয়ে যুবদল নেতা কল্লোসহ তার বিরুদ্ধে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের মিথ্যা অভিযোগের ভিডিও ধারণ করিয়েছেন। এমনকি ভিডিও ধারণের পুর্বমুহুর্তে ক্যামেরার সামনে কি বলতে হবে- সেসব কথাও শিখিয়ে দেন ঐ যুবনেতার সহকারী মিজান। যা পাশের থাকা অপর এক ব্যক্তির ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
এসবের ধারাবাহিকতায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবেস আনোয়ারুলের ফুফাত ভাই মোকছেদ সংবাদ সম্মেলন করে গত ৫ আগষ্ট তার(জহুরুল) নেতৃত্বে স্থানীয় কাতখালী ভুমিহীন পল্লীতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার ৪০ দিন পর এমন সংবাদ সম্মেলনে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপির এ বলেন, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের পায়তারা চলছে। সাবেক আ’লীগ দলীয় এমপি জহুরুল হায়দারের সহযোগী আব্দুর রহমান বাবুর পরামর্শে যুবদল নেতা আনোয়ারুলসহ স্থানীয় বিএনপির কয়েক নেতা এসব ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ তার। নিজের বিরুদ্ধে আনীত যাবতীয় অভিযোগের সত্যতা তদন্তে উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ বিএনপি নেতা। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ডিএম মফিজ, আশিকুল হাসান, যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক হাফিজ আল আসাদ কল্লোল ও নুরনবী প্রমুখ।