নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ এক বছর ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে অবশেষে পরিবার, পরিজন, সহপাঠী ও বন্ধুদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলো আফজাল হোসেন। সে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অর্নাস ২য় বর্ষের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্র এবং সাতক্ষীরা আহছানিয়া মিশন মাদ্রাসার শিক্ষক মাও. আবুল বাসারের ২য় পুত্র। সদালাপী, বিনয়ী ও মেধাবী এই ছাত্রের স্পাইরাল কটে অসংখ্য টিউমার বাসা বেঁধেছিল। কে জানতো, অপার সম্ভাবনাময় এই ছাত্রকে এভাবে অকালে চলে যেতে হবে? বছর খানেক আগে তার শরীরে এ রোগ ধরা পড়ার পর দেশ-বিদেশের চিকিৎসকরা নিবিড়ভাবে চিকিৎসা সেবা দেন। কিন্তু চিকিৎসকদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে সকলকে কাদিয়ে আফজাল হোসেন চলে গেছে। ‘আর আসিবে না ফিরে, তোমাদের মাঝে, সে চলে গেছে আপন ঘরে, কাদিয়ে সকলকে’। জন্ম নিলে মরতে হবে এটা চিরন্তন সত্য। কিন্তু কিছু কিছু মৃত্যু দাগ কেটে যায় মানুষের হৃদয়ে।
আফজালদের গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। চাকরির সুবাদে তার পিতা শহরের কাটিয়া এলাকায় বসবাস করতো। ২ ভায়ের মধ্যে আফজাল ছিলো ২য়। পরিবারের ছোট সদস্য হওয়ায় সে ছিলো সকলের কলিজার টুকরা। পরিবারের সকল আনন্দ, বেদনা তাকে ঘিরে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে তাকে অকালে চলে যেতে হয়েছে। তার সামান্য এই জীবনে কারো সাথে কোন বিরোধ ছিলো না। যেখানে গিয়েছে সেখানেই অল্পদিনের মধ্যে সকলের মন জয় করে নিয়োছিলো আফজাল। সবই ঠিকঠাক আছে, শুধু নেই আফজাল। সে আর কোন দিন ফিরে আসবে না। এ কথা ভবেই নিরবে দুচোখ জলে ভরে যায়। সদাহাস্যউজ্জল, সদালাপি আফজাল যেন জান্নাতের সুমাহান স্থান লাভ করে এই কামনা তার স্বজনদের।
পূর্ববর্তী পোস্ট