কে এম রেজাউল করিম দেবহাটা :দেবহাটায় ইউএনওর ভ্রাম্যমান আদালতে পুশকৃত চিংড়িসহ ১জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার ১২ ডিসেম্বর দুপুরে গাজীরহাট মৎস্য সেডের আড়ত থেকে চিংড়িতে পুশ করার সময় পুশ করার যন্ত্রপাতিসহ তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, আমাদের দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম উৎস চিংড়ি। সাদা সোনাখ্যাত এই চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। সেই সুনাম নষ্ট করতে একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন চিংড়িতে সাবু ও জেলিসহ নানারকম অপদ্রব্য পুশ করে আসছে।
প্রশাসন এবিষয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে৷ কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম কমানো যাচ্ছেনা। বৃহষ্পতিবার ইউএনও মোঃ আসাদুজ্জামান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১টার দিকে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাজ্জাদুর রহমান, নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন, গাজীরহাট মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলামসহ থানার পুলিশ ফোর্স নির্বাহী অফিসারের সাথে ছিলেন। অভিযানে পুশকৃত ২৫ কেজি চিংড়িসহ উপজেলার দেবিশহর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আলমগীর হোসেনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।
আটক আলমগীর নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে কর্মরত আছে। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আটককৃত চিংড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং আটককৃত অসাধু ব্যবসায়ী আলমগীরকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ইউএনও এবং ওসির অভিযানে পারুলিয়া মৎস্য সেড থেকে ৩মন পুশকৃত চিংড়িসহ ২জনকে আটক করা হয়। গাজীরহাট মৎস্য সেডের একাধিক স্থানে এই অবৈধ পুশ করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। অভিযান হয় কিন্তু এই অবৈধ কাজ বন্ধ হচ্ছেনা। দেশের সম্মান নষ্ট করে অসাধু চক্র তাদের অবৈধ ব্যবসা অব্যাহত রেখেছে।