বাড়ির বাইরে মরা গরু পড়ে আছে। আর এই কারণে এক মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করে তাঁর বাড়িঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গিরিডি জেলার দেওড়ি থানার বেরিয়া হাতিয়াতান্ড গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম ওসমান আনসারি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ঝাড়খন্ডের রাঁচি শহর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরের ওই গ্রামে কিছু লোক উসমানের বাড়ির বাইরে একটি মরা গরু দেখতে পান। আর সেই কারণেই যত রাগ গিয়ে পড়ে উসমানের ওপর। একজন মুসলমানের বাড়ির বাইরে কেন মরা গরু? এই প্রশ্ন তুলে উত্তেজিত মানুষজন উসমানকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে এনে বেধড়ক মারধর শুরু করে দেয়। আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে একসময় ওসমানের বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ। কিন্তু সেই সময় পুলিশকে ঘটনাস্থলে আসতে বাধা দেয় উত্তেজিত জনতা। এমনকি গুরুতর জখম অবস্থায় উসমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ক্রমাগত বাধা দিতে থাকে জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে আরম্ভ করে তারা। পাথরের আঘাতে প্রায় ৫০ জন পুলিশকর্মী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একসময় বাধ্য হয়ে ফাঁকা গুলি চালায় পুলিশ।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় উসমানকে ধানবাদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় ঝাড়খন্ড পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আর কে মৌলিক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় যারা আইনকে নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।