বীর্য কেলেঙ্কারিতে জড়াল এবার থাইল্যান্ড! থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় নঙ খাই শহর দিয়ে সীমান্ত অতিক্রমের সময় এক ব্যক্তির ব্যাগে থাকা একটি নাইট্রোজেন বাক্সের ভিতরে ওই শিশিগুলো পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, চিনা ও ভিয়েতনামের কয়েকব্যক্তির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয় বীর্যভরতি এই সমস্ত শিশিগুলি। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, লাওসের রাজধানীর ভিয়েনতিয়ানের একটি ফার্টালিটি ক্লিনিকে এগুলি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বীর্য পাচারের সময়ে হাতেনাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল থাইল্যান্ডের পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ছটি শিশি। এই সমস্ত শিশিতে করেই বীর্য পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, লাওসে এই সমস্ত বীর্য পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ক্যাম্বোডিয়ার একটি হাসপাতালেও তিনি কয়েকটি চালান পৌঁছে দিয়েছেন বলে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়। বেশ কয়েকটি স্ক্যান্ডালের পর বিদেশিদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে থাই মহিলাদের সারোগেট হিসেবে কাজ করা ২০১৫ সালে নিষিদ্ধ করে দেশের সরকার। এর পরের বছর সারোগেসি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ক্যাম্বোডিয়া।
থাইল্যান্ড ও ক্যাম্বোডিয়ায় সারাগেসি নিষিদ্ধের পর প্রতিবেশী লাওসে বাণিজ্যিক সারাগেসি ব্যাপক আকারে বাড়তে দেখা যায়। ‘ব্যাংকক পোস্টে’র প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ধৃত ওই থাই চোরাচালানকারী গত বছর একইভাবে ১২ বার লাওসে গিয়েছেন, যেখানে ব্যাংককের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে বীর্য সংগ্রহ করে তিনি তা লাওসের কয়েকটি ক্লিনিকে পৌঁছে দিয়েছেন।