আমাদের এই পৃথীবিতে নানান জাতির মানুষের বসবাস। নানান বর্ণে নানান ভাষায় এসব জাতি বিভক্ত, তাদের রীতি নীতিও আলাদা। বিয়ে প্রথা প্রতিটি সমাজেই আছে, কিন্তু সমাজ ও জাতি ভেদে বিবাহ রীতির অনুষ্ঠানাদি ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তেমনি কয়েকটি বিচিত্র বিবাহ রীতি এখানে তুলে ধরা হলো।
১. সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী সেখানের কোন পুরুষ, যার সৌদি আরবের নাগরিকত্ব রয়েছে, সে ৪টি দেশের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে না। পাকিস্তান, বাংলাদেশ, চাঁদ এবং মায়ানমারের কোন নারীকে বিয়ে করতে পারবে না।
২. যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কনে যদি বিয়ের দিন আলগা কোন দাঁত লাগাতে চায়, তাহলে অবশ্যই স্বামীর পারমিশন নিয়ে নিতে হবে। তা নাহলে বিয়ে হবে না।
৩. পানামার “সান ব্লাস” উপজাতীয় গোত্রের বিয়ের অনুষ্ঠানে কাছা কাছি দুটি গাছে একটা শক্ত কাপড়ের দুই মাথা বাঁধা হয়, বর গিয়ে সেই ঝুলন্ত কাপড়ে শুয়ে পড়ে। এক সময়ে সাজপোষাক পরা কনে গিয়ে বরের পাশে বসে। এক মিনিট ধরে বসে থাকলেই দুজনের বিয়ে হয়ে গেলো।
৪. আফ্রিকার রুয়ান্ডাতে “ওয়াটুসি” গোত্রের মধ্যে বিয়ের রীতি বেশ অদ্ভুত। বর-কনে সকলের উপস্থিতিতে সামনা-সামনি দাঁড়ায়। বরের মুখের কুলির পানি কনের গায়ে ছিটিয়ে দেয়, কনেও মুখের পানি বরের গায়ে ছিটিয়ে দেয়, তক্ষুনি তাদের বিয়ে হয়ে গেলো।
৫. ভারতের গঞ্জামে বসবাসকারী “সুন্দ্রা” গোত্রের মেয়েদের বয়স বারো বছর পূর্ণ হলে তাকে প্রথমে সূর্যের সাথে বিয়ে দিতে হয়। সেদিন পুরোপুরি বিয়ের আয়োজন করে, মেয়েটিকে গয়না গাটি পরিয়ে কনে সাজানো হয়। তারপর একটি থালায় পানি রেখে কনেকে থালার পাশে রাখা হয়, তাতে বর সূর্যের প্রতিফলন পড়ে, এই প্রতিফলন পড়ার সাথে সাথে সূর্যের সঙ্গে কনের বিয়ে হয়ে যায়। এরপর থেকে মেয়েটিকে ঠিক বিবাহিতা মেয়ের মতো বিবেচনা করা হয়।
৬. কাশ্মীরের হিন্দুদের মধ্যে যে বিয়ে হয় সেই বিয়ের আসরে কনে নিজে উপস্থিত থাকেনা, বদলে তার একজন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকে। প্রতিনিধিটি হলো একটি উট। ভারতের কোন কোন জায়গায় এমন রীতি প্রচলিত আছে যে, মেয়ে যদি পছন্দ করে কোন ছেলেকে বিয়ে করতে চায়, তাহলে বিয়ের অনুষ্ঠানে তাকে প্রথমে একটি গাছকে বিয়ে করতে হবে।
৭. আফ্রিকার ইথিওপিয়ার “গাল্লাদের” মধ্যে যে বিয়ে হয় তা অনেকটা অপহরণ পদ্ধতির মতো। বর কনেকে কোলে তুলে নিয়ে যায় এক জায়গায়। সেখানে একটা বড় পাত্রে পানি ভরা থাকে। কনেকে তুলে পানির উপর ছেড়ে দেয় বর। তখন ঝপ্পাস করে আওয়াজ হয়, যতো বেশী জোরে আওয়াজ হবে বিয়ে ততোই বেশী পাকাপোক্ত হয়েছে বলে বিবেচিত হবে।