আশাশুনি ব্যুরো : জনসম্মুখে প্রকাশ পেল না আশাশুনির কুল্যা ইউনিয়নের উন্মুক্ত বাজেট। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ সনের ৬১ নং আইনের দশম অধ্যায়ে প্রকাশ্য বাজেটের আদেশ হয়। এ আইনের ৫৭’র উপধারা ২ এ বলা হয় ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটি এবং স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে প্রকাশ্য বাজেট অধিবেশন অনুষ্ঠান করিবে এবং বাজেট পেশ করিবে। পরিষদের পরবর্তী সভায় পাসকৃত বাজেটের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করিবে। উপধারা ৩ এ আদেশ হয় কোন ইউনিয়ন পরিষদ অর্থ বৎসর শুরু হইবার পূর্বে (অর্থাৎ জুন মাসের আগে) উক্ত বাজেট প্রণয়ন করিতে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্ভাব্য আয় ব্যয়ের একটি বিবরণী প্রস্তুত ও প্রত্যয়ন করিবে এবং এইরূপ প্রত্যয়নকৃত বিবরণী ইউনিয়ন পরিষদের অনুমোদিত বাজেট বলিয়া গণ্য হইবে এবং বাজেটের অনুলিপি প্রাপ্তির ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে বাজেটের কোন ত্রুটি থাকিলে উহা সংশোধন করিয়া পরিষদকে অবহিত করিবে। কিন্তু উক্ত অর্থ বৎসরের সম্ভাব্য আয় ও ব্যয়ের বিবরণী জনসম্মুখে না তুলে, উন্মুক্ত বাজেট না করে পার পেলেন কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান এস এম রফিকুল ইসলাম। জানতে চাইলে তিনি বলেন বাজেট অনুষ্ঠান করতে সামনে এখনো ৩মাস সময় আছে। ইউনিয়ন পরিষদ আইন সংশোধন হইছে। আমরা বাজেটের খসরা প্রস্তুত করছি। কিন্তু সংশোধনী আইনে দেখা যায় ১২ই অক্টোবর, ২০১০ইংরেজিতে বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত সংখ্যায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সনের ৬১ নং আইন এর ৫৭’র কোন সংশোধন হয়নি। সংশোধন হয়েছে ১৩’র উপ-ধারার ১এ। আর সেটি হলো একটি ওয়ার্ডের লোকসংখ্যা অন্য একটি ওয়ার্ড হইতে ১০% এর কম বা বেশী না হয়। কমা, শব্দসমূহ, সংখ্যা ও চিহ্ন বিলুপ্ত হইবে।
অভিযোগ আছে ইউনিয়নের বিভিন্ন দূর্নীতি ধামাচাপা দিতে তিনি উন্মুক্ত বাজেট করছেন না।
এবিষয়ে কয়েকজন ইউপি সদস্যের সাথে কথা বললে তারা বলেন চেয়ারম্যান যদি বাজেট অনুষ্ঠান না করেন তাহলে আমরা কি করতে পারি। কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদ উন্মুক্ত বাজেট না করায় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোহাম্মদ মহিউদ্দীন এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ইউনিয়নের সচেতন মহল।
পূর্ববর্তী পোস্ট