নিজস্ব প্রতিবেদক : জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা আট মাসের অন্তস্বত্তা গৃহবধূ মনজিলা খাতুনসহ তার স্বামী ও বৃদ্ধা দাদিকে ব্যাপক মারিপট করে আহত করেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের বেতলা গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। আহত অন্তস্বত্তা গৃহবধু ও তার বৃদ্ধা দাদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গৃহবধুর বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বেতলা গ্রামের আনছার আলী সরদারের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
বাদির এজাহারে বর্ণিত অভিযোগে জানা যায়, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবেশী মাঃ আতাউর হক গংদের সঙ্গে মনিরুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ৪ জুলাই দিবগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বেতলা গ্রামের মৃতঃ অলেক সরদারের ছেলে মোঃ আতাউর হক ও তার ছেলে কামরুল ইসলাম, ইব্রাহিমের ছেলে মগরব আলী, আতাউর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম, মৃতঃ টেটে সরদারের ছেলে ইব্রাহিম, কাশেমপুর গ্রামের মাহরমের ছেলে বিল¬াল হোসেন, ইছাহাক মোল¬ার ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এবং নলকুড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে মোঃ হাবিবসহ তাদের সহযোগী আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন আসামী বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে লাঠি, লোহার রড, শাবল, কুড়াল ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র সহকারে বাদির ভোগদখলকৃত ভিটাবাড়ীর জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে বসতঘর ভাংচুর করতে থাকে। এসময় বাধা দিলে আসামীরা আমিসহ আমার মেয়ে মনজিলা খাতুন (২৫), বৃদ্ধ মা জোহরা খাতুন (৬৫) এবং জামাতা হাফিজুল ইসলামকে মারপিট করতে থাকে। আমার মেয়ে মনজিলা ৮ মাসের অন্তস্বত্তা। আসামী বিল¬াল হোসেনের হুকুমে আতাউর হক আমার মেয়ের গলায় শাড়ি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় কামরুল ও বিল¬াল লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আমার অন্তস্বত্তা মেয়ের পেটেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতাড়ী ভাবে পিটিয়ে কাটা ফোলা রক্তাক্ত জখম করে। কামরুল আমার তিন বছরের নাতি ছেলে আমির হামজাকে মাটিতে আছাড় মেরে জখম করে। হাবিব আমার মেয়ের পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। তারা আমার বৃদ্ধ মা’কেও মারপিট করে আহত করে।
পরে আসামী ঘরে ঢুকে ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ ৪০ হাজার টাকা নেয় এবং বসতঘরসহ অন্যান্য মালামাল ও জিনিসপত্র ভাংচুর করে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। যাওয়ার সময় আসামীরা আমাকেসহ আমার মা, মেয়ে ও জমাতাকে বিষয়টি নিয়ে থানা বা কোর্টে মামলা না করার হুমকি দেয়। এমনকি আসামীরা আমাদের ভোগদখলকৃত ভিটাবাড়ীর জমি জোর পূর্বক দখল করে নিবে, আমাদের নামে মিথ্যে মামলা দিয়ে গ্রাম ছাড়া করবে ও ভিটা ছাড়া করবে ইত্যাদি হুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় অন্তস্বত্তা মেয়ে ও আমার মা’কে জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি ও আমার জামাতা স্থানীয় ডাক্তারের কাছ থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করেছি। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট