চীনের বন্দরনগরী শিয়ামেন থেকে বিমানের প্রথম শ্রেণীতে অর্থাৎ বিজনেস ক্লাসের আসনে চড়ে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর পৌঁছেছে তিনটি চীনা দেবমূর্তি।
বিমানের বিজনেস ক্লাসে চীনা এই দেবতাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
কোন দেবতারা বিজনেস ক্লাসে চড়লেন?
বিমানে চড়া দেবমূর্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে চীনের সমুদ্রের দেবী মাজু (মাতসু নামেও পরিচিত এই দেবী)।
দক্ষিণ চীনে এবং মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের বৌদ্ধ ও তাও ধর্মাবলম্বীরা এগুলোর পূজা করে থাকে।
মনে করা হয় দেবী মাজু সমুদ্রের জেলে ও নাবিকদের রক্ষা করে।
দ্বিতীয় মূর্তিটি হচ্ছে দেবতা কিয়ানলিয়ানের। তাকে হাজার বছর দূরের বস্তু দেখতে সক্ষম দেবতা বলা হয়।
আর তৃতীয়টির নাম হচ্ছে শান ফেং। তাকে বলা হয় হাজার মাইল দূরের জিনিস শুনতে সক্ষম দেবতা। চীনাদের ভাষায় তারা উভয়েই স্বর্গে দেবতাদের রক্ষক।
এই দেবতারা কেন বিজনেস ক্লাসে?
চীনের সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, চীন-মালয়েশিয়া সংস্কৃতি বিনিময় কর্মসূচির আওতায় চীনের থিয়ান হৌ মন্দির থেকে মালয়েশিয়ায় তিনটি দেবমূর্তি আনা হয়।
সমুদ্রের দেবতাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখাতে তাদেরকে বিমানের বিজনেস ক্লাসের তিনটি টিকিট কাটা হয়। প্রতিটি টিকিটের দাম ছিল প্রায় ২ হাজার ৯১ ইয়ান (২৩৭ পাউন্ড)।
মূর্তিগুলো সোমবার মেলাকা নিয়ে যাওয়ার আগে কুয়ালালামপুরে একটি শোভাযাত্রা হয়েছে।
মেলাকায় এগুলো নিয়ে শোভাযাত্রা শেষে সিঙ্গাপুর ও পরে চীনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।