সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ১৪ দিন বাসায় রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল আলীমকে রক্ষায় দৌড়ঝাঁপ অব্যাহত রেখেছেন এলাকার প্রভাবশালীরা।
ধর্ষিতার পরিবারের অভিযোগ, আবদুল আলীম ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক এমপির ভাগ্নে হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনও আইনি পদক্ষেপ নিতে গড়িমসি করছে।
আবদুল আলীমের মা রীনা বেগম বলেন, ছাতকের এমপি মুহিবুর রহমান মানিক আমার চাচাতো ভাই। আলীমের মামা বিলাল উদ্দিন উত্তর কুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বিলালের উদ্যোগে সালিশ কমিটি বসে মেয়েটির জন্য ৭০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করেছেন। ছাতক থানার ওসি আতিকুর রহমানও বিষয়টি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির জন্য সহযোগিতা করছেন।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ছাতক থানার ওসির অনুরোধে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কুড়ারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে জানাই। পরে এ নিয়ে কোনো পক্ষই আমাকে জানায়নি। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান বলেন, বিষয়টি জানি না। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
ছাতক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাসিরুল্লাহ খান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। সুত্র: যুগান্তর