পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের সুদর্শন এক চা-ওয়ালাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছিল। শুধু পাকিস্তানেই নয়, এমনকী বৈরী প্রতিবেশী ভারতেও। সেই চা বিক্রেতা আরশাদ খানকে একটি পাকিস্তানি কোম্পানি তাদের পোশাকের মডেলও করেছে। এমনকী বড় পর্দায়ও নাকি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, আরশাদ খান নাকি আদৌ পাকিস্তানি নন। এমনকি ভুয়া কাগজপত্রে তিনি নিজেকে পাকিস্তানি নাগরিক প্রমাণ করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের জিও নিউজ-এর একটি প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে দীর্ঘদিন বাস করলেও আরশাদ খান আসলে আফগানিস্তানের নাগরিক।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেটাবেস এবং রেজিস্ট্রেশন অথরিটিস (এনএডিআরএ) জানিয়েছে, পাকিস্তানে থাকার জন্য আরশাদ খান কোনো বৈধ্য কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
পাকিস্তানের ডিজিটাল ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ডের জন্য আরশাদ যে নথিগুলি জমা দিয়েছিলেন সেগুলি ভুয়া। সম্প্রতি পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন আরশাদ। এরপর পাসপোর্টের জন্য নথিগুলি পরীক্ষা করতে গিয়েই ভুয়া নথির বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জিও নিউজের অনুসন্ধানের জানা গেছে, আরশাদ ও তাঁর পরিবার আদতে আফগানিস্তানের কান্দাহারের বাসিন্দা। সেখান থেকেই মোসাখেল উপজাতির মানুষদের সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে এসেছিল আরসাদের পরিবার। তবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেননি আরসাদ।
জিও টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে পাকিস্তানের নাগরিক বলে দাবি করেছেন আরশাদ। তিনি বলেন, তাঁর বাবার জন্ম পঞ্জাবের সরগোধায়। ১৯৮৪ সালে সৌদি আরবে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ১৩ বছর পর ফের ফিরে এসেছিলেন পাকিস্তানে। তাঁর দাবি, পাকিস্তানের মরদান থেকে পখতুনখওয়া প্রদেশে এসেছিল তাঁদের পরিবার। তবে এই বক্তব্যের স্বপক্ষে কোনো বৈধ নথি দেখাতে পারেননি আরশাদ।