অপ্রতিম রহমান : সাতক্ষীরার ১১ বছরের মেয়ে মুক্তামনির বিরল ‘লিমফেটিক মেলফরমেশন’ রোগে আক্রান্ত। এই রোগের বিশেষত্ব হচ্ছে জন্মের পরপরই কিছু ক্ষেত্রে এই রোগের প্রকাশ কারও ক্ষেত্রে পায়, কারও ক্ষেত্রে পায় না। মুক্তামনিরটা প্রকাশ পেয়েছে তার জন্মের দেড় বছর পর। এটি একটি জন্মগত রোগ (কনজিনেটাল ডিজিস)। আজ ১৬ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এ তথ্য জানান।
মুক্তামনির চিকিৎসা পদ্ধতির বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে লিমফেটিক মেলফরমেশন রোগে আক্রান্ত মুক্তামনি। যদিও প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা চারটি রোগের কথা ধারণা করে। তাকে ইতোমধ্যে দুই ব্যাগ রক্ত, ১ ব্যাগ প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। তাকে হাসপাতাল থেকে ডাবল ডায়েট দেওয়া হচ্ছে। গত তিনদিনে মুক্তার রক্তের অনেকগুলো পরীক্ষা এবং ইউরিন টেস্ট হয়েছে। হয়েছে সিটিস্ক্যন, এমআরআই, ডুপ্লেক্স ও আলট্রাসোনোগ্রাফি। রক্ত এবং ইউরিনের রিপোর্ট হাতে পেলেও বাকিগুলো আগামীকাল পাবো। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো ভালো আছে, বাকিগুলো আগামিকাল পেলে তার ওপর ভিত্তি করে পুরো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
কতদিনে মুক্তামনি সুস্থ হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মুক্তার চিকিৎসা সহজ হবে না। এটি নিঃসন্দেহে একটি দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা। এখানে মূল দায়িত্ব প্লাস্টিক সার্জারির। এর সঙ্গে অর্থোপেডিক, মেডিসিন, ভাসকুলার সার্জারি টিম এরা সবাই জড়িত থাকবে। তবে এটা বলতে চাই চিকিৎসা একধাপে চলবে না। ধাপে ধাপে সার্জারি করে তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যাবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট