মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: অসহায় প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের স্ত্রী ও কন্যার উপর পুর্ব শত্রুতার জের ধরে অমানুষিক নির্যাতন করেছে প্রতিপক্ষ।
প্রতিবন্ধী ফজলের দাবি গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভের সন্তান নষ্ট করায় তার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিপক্ষরা কোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
জানা যায়, সদর উপজেলার লাবসা ইউনিয়নের থানাঘাটা কাজীর বটতলা এলাকার অসহায় প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের মেয়ে রোজিনা খাতুন খুকুমনিকে অশ্লীলভাষায় কটুক্তি করায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে ফজলের গর্ভবতী স্ত্রী সেলিনা বেগম ও মেয়ে রোজিনা খাতুনের উপর আতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে ভর্তির পর রোজিনা খাতুনের মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়।
সদর থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ০৫.০৯.১৬ তারিখ সন্ধ্যায় সদরের থানাঘাটা কাজীর বটতলায় এ ঘটনা ঘটে। আসামি থানাঘাটা কাজীর বটতলা এলাকার মো. আরিজুল ইসলাম, মো. আরিজুল ইসলামের স্ত্রী শাকিলা বেগম (গুরো), মো. বুলু’র স্ত্রী ভদো খাতুনসহ অন্যান্যরা পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আসামিরা প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের স্ত্রী গর্ভবতী সেলিনা বেগমকে পেটে লাথি ও কিল ঘুষি মারে এবং তার মেয়ে রোজিনা খাতুন (খুকু মনি) কে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সে কারণে তার মাথায় ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং একাধিক সেলাই দিতে হয় ও তার হাতে দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে মাংস তুলে নেয় আসামিরা।
ফজলের পরিবারে দাবি, এর ফলে সেলিনা খাতুনের গর্ভের সন্তান মারা যায়। সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৪.০৯.১৬ তারিখ রাতে আরো একটি মামলা করা হয়েছে। এব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন মোল্লা বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে এস. আই এনামুলকে মামলা তদন্তের দায়িক্ত দেওয়া হয়েছে। অসহায় প্রতিবন্ধী ফজলে রহমানের স্ত্রী-সন্তানের উপর যারা এই অমানবিক অত্যাচার করলো তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ফজল ও তার পরিবার।
পূর্ববর্তী পোস্ট