দারুণ ফর্মে রয়েছেন শিখর ধাওয়ান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তারপরও টেস্ট দলে নিশ্চিত ছিলেন না তিনি। মুরালি বিজয়ের চোট তাঁর কপাল খুলে দিয়েছে। আবার সাদা পোশাকটা গায়ে ওঠে তাঁর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনই নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। গল টেস্টে ১৯০ রানের ঝলমলে এটি ইনিংস খেলেছেন তিনি। মাত্র ১০ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি মিস করলেও দলকে এক শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে রেখেছেন মূল্যবান অবদান।
গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৩৯৯ রান। ধাওয়ান ছাড়া চেতেশ্বর পূজারা করেছেন অপরাজিত ১৪৪ রান করেন।
দারুণ এই সেঞ্চুরি করে একটি রেকর্ডও গড়েন ধাওয়ান। ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে এক সেশনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন তিনি। ২০০৯ সালে মুম্বাইয়ে এক সেশনে ১৩৩ রান করেছিলেন বীরেন্দর শেবাগ। আজ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ১২৬ রান করেন ধাওয়ান। শেবাগ অবশ্য দিনের শেষ সেশনে তাঁর রেকর্ডটি করেন। এক সেশনে সর্বোচ্চ ১৭৩ রান করার রেকর্ডটি ডেনিশ কম্পটনের। ১৯৫৪ সালে নটিংহামে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেশনে এই রেকর্ড করেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।
গল টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দলীয় ২৭ রানে ওপেনার অভিনব মুকুন্দকে হারায় ভারত। নুয়ান প্রদীপের বলে উইকেটের পেছনে বেশ ভালো ক্যাচ নেন নিরোশান দিকভেল্লা। ২৬ বলে ১২ রান করেন মুকুন্দ। এরপর ধাওয়ান ও পূজারা স্কোরে যোগ করেন ২৫৩ রান। প্রথম সেশনের চেয়ে দ্বিতীয় সেশনেই বেশি আগ্রাসী ছিলেন ধাওয়ান। লাঞ্চের পর থেকে চা-বিরতির আগ পর্যন্ত ১২৬ রান তুলে নেন ধাওয়ান। দলীয় ২৮০ রানে নুয়ান প্রদীপের বলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে ক্যাচ দেন তিনি। ১৯০ রানের ঘরে আউট হওয়া পঞ্চম ব্যাটসম্যান হলে ধাওয়ান। এর আগে মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, লোকেশ রাহুল, মোহাম্মদ হাফিজ ও ব্যান্ডন ম্যাককালাম নাভার্স নাইটেজের শিকার হন।
ধাওয়ান আউট হওয়ার পরপরই বিরাট কোহলিকে হারায় ভারত। আট বলে তিন রান করে প্রদীপের তৃতীয় শিকার হন ভারত অধিনায়ক। দিনের বাকিটা সময় বেশ ভালোভাবেই পার করেছেন রাহানে ও পূজারা। রাহানে ৩৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন।