পর্ন ভিডিও তৈরির একটি চক্রের হোতা সন্দেহে গ্রেপ্তার ফুয়াদ বিন সুলতানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
ফুয়াদ (৩৩) পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) সুলতান আহমেদের ছেলে। সুলতান প্রায় এক দশক আগে মারা যান।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারের পর ফুয়াদকে উত্তরা পশ্চিম থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়।
থানার ওসি আলী হোসেন জানান, ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়েছিল। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
র্যাব জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা বাবার রেখে যাওয়া ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি ফ্ল্যাট পর্ন ভিডিও তৈরিসহ অপরাধমূলক নানা কাজে ব্যবহার করে আসছিলেন ফুয়াদ। তিনি আগে বিভিন্ন অভিজাত হোটেলের ব্যবস্থাপনা বিভাগে কাজ করতেন।
বাংলাদেশে ফুয়াদই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে পর্নসাইট চালু করেন বলে র্যাবের দাবি।
তাকে গ্রেপ্তারের পর বাহিনীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২০১৫ এবং ২০১৬ সালে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সে পর্নগ্রাফির ব্যবসা শুরু করে। এই ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে সে বিভিন্নভাবে সংগৃহিত মেয়েদের আপত্তিকর ছবি, মোবাইল নম্বর এবং দৈহিক মিলনের নির্ধারিত মূল্য উল্লেখ করে বিভিন্নজনকে আকৃষ্ট করত।”
র্যাব জানায়, ফুয়াদের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ পাইরেটেড সিডি, পর্নগ্রাফি তৈরিতে ব্যবহৃত ল্যাপটপের পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেটও পাওয়া যায়।
র্যাব দাবি করেছে, এই যুবক বিভিন্ন তরুণকে শারীরিক সম্পর্ক করতে তার ফ্ল্যাটে জায়গা করে দিত। তাদের জন্য মজুদ রাখত ইয়াবাসহ নানারকম নেশাদ্রব্য।
ফুয়াদ নিজেও বিভিন্ন নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে গোপনে তার ভিডিও ধারণ করে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতেন বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানান।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক কাসিম বিন সারোয়ার বলেন, ফুয়াদের খোলা পর্নসাইটগুলো তার বন্ধ করে দিয়েছেন।
ফুয়াদের কয়েকজন সহযোগীর নামও পেয়েছে র্যাব। তাদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান কাসিম। ২০১৪ সালের দিকে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরুর পর ফুয়াদ পর্নগ্রাফিতে ঝোঁকেন বলে র্যাব জানিয়েছে। বাবার বাড়ির দ্বিতীয় তলার দুটি ফ্ল্যাট ফুয়াদ ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করেন। ষষ্ঠ তলায় স্ত্রী-সন্তান ও মাকে নিয়ে থাকেন তিনি। ওই বাড়ির চতুর্থ তলায় একটি নারী হোস্টেল। তৃতীয় তলায় এক পাশে একটি বিদেশি পরিবার থাকে, অন্য পাশও ভাড়া দেওয়া।