২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক কাতার। আর এই বিশ্বকাপে চমক দেখাতে চায় দেশটি। সে লক্ষ্যেই এখন চলছে নতুন একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ।
তবে আর ১০টি সাধারণ স্টেডিয়ামের মতো দেখতে হবে না এটি। আরবের নাগরিকদের ঐতিহ্যবাহী হাতে বোনা টুপি ‘গাহফিয়া’র আদলে তৈরি করা হচ্ছে স্টেডিয়ামটি।
গতকাল রোববার কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির প্রধান হাসান আল-থাওয়াহাদি জানিয়েছেন, সৌদি জোটের অবরোধের মধ্যেই বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের সব ধরনের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং জঙ্গি সংগঠনগুলোকে সমর্থন, অর্থায়ন ও লালন-পালনের অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দোহা।
অবরোধের কারণে স্থলপথে কোনো পণ্য আমদানি করতে না পারলেও সমুদ্র ও আকাশপথে ইরান, তুরস্ক ও ওমানের কাছ থেকে খাদ্য এবং বিশ্বকাপের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করছে কাতার। এই বিশ্বকাপ আয়োজনকেই বিশ্বব্যাপী নিজেদের পরিচিত করার কৌশল হিসেবে গ্রহণ করেছে দেশটি।
মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, টুপির আদলে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামটির নকশা করেছেন একজন কাতারি স্থাপত্যকার। ঐতিহ্যবাহী টুপি ‘গাহফিয়া’র আকৃতির এই বিশ্বকাপের একটি কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৪০ হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন।
হাসান আল-থাওয়াহাদি বলেন, এই নকশা আরব ও মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হবে। মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য শ্রদ্ধাও জানানো হবে এই নকশার মধ্য দিয়ে।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনে কাতার আটটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম নির্মাণ, নতুন বন্দর এবং ৩৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে মেট্রোরেল চালুসহ নানা ধরনের নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।