বাঙালিরা মাছে ভাতে বাঙালি। ভাত-মাছ বাঙালিদের প্রধান খাবার। বাঙালিরা তৃপ্তি করে ভাত খান। ভাত রান্নার আগে চাল ধুয়ে পানি অনেকে ফেলে দেন। এখন থেকে আর তা ফেলবেন না। বরং তা কাজে লাগান। ত্বক থেকে স্বাস্থ্য— সব কিছুরই খেয়াল রাখবে চাল ধোয়া পানি।
চাল-ধোয়া-পানিতে নির্দিষ্ট মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি-উপাদান থাকে। বিশেষ করে প্রথম ও দ্বিতীয়বার ধোয়ার সময় চাল থেকে প্রচুর পটাসিয়াম বের হয়ে যায়। এ পটাসিয়ামসমৃদ্ধ পানি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই পানি কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করা যাবে। জেনে নিন চাল ধোয়া পানির অজানা ব্যবহার-
১। ভাল করে চুল শ্যাম্পু করুন। এর পর কন্ডিশনারের মতো চুলে চাল ধোয়া পানি লাগিয়ে রাখুন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। চালের প্রোটিন চুল গোঁড়া মজবুত করবে।
২। ত্বকে সংক্রমণ বা জ্বালাপোড়া থাকলে দিনে অন্তত দু’বার ১৫ মিনিট করে চাল ধোয়া পানিতে গোসল করুন। এতে শরীরের জ্বালাপোড়া দূর হবে। গোসলের সময় নিয়মিত চাল ধোয়া পানি ব্যবহার করলে ত্বকের পুষ্টির জোগান দেবে। ত্বক হবে আরো মসৃন। বয়সের ছাপও ত্বকে পড়বে দেরিতে।
৩। চাল ধোয়া পানিতে আট রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে। যা মানুষের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তাই প্রতিদিন চাল ধোয়া পানি খেতেও পারেন। এতে স্বাস্থ্যর উপকার হবে অনেকটা।
৪। আমরা অনেকেই ব্রণের সমস্যায় ভুগে থাকি। ব্রণের সমস্যা দূর করতে চাল ধোয়া পানি খুবই উপকারী। তুলোয় করে এই জল দিয়ে ব্রণ-র উপরে লাগিয়ে রাখুন। ব্রণ তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।
৫। ডায়রিয়ারও পথ্য চাল ধোয়া পানি। এক গ্লাস পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে তা খেয়ে নিন। কারো ডায়রিয়া হলে ডাক্তার রাইস স্যালাইন পথ্য হিসেবে দিয়ে থাকেন। বাজারে তো রাইস স্যালাইন পাওয়াই যায়, তবে বাসাতেও কিন্তু আপনি অজান্তেই তা বানাচ্ছেন এবং ফেলেও দিচ্ছেন। ভাত হওয়ার পর তার পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে নিলেই কিন্তু তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্যকর রাইস স্যালাইন।