পেয়ারা একটি পুষ্টিকর ফল। সকলের কাছেই পেয়ারা বেশ পছন্দের ফল। এতে প্রচুর ভিটামিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকায় অনেকেই একে ভিটামিনের খনি বলে থাকে। পেয়ারার খোসায় কমলায় চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এই ফলে লৌহ উপাদানও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যমান। পুষ্টিমানের বিবেচনায় কমলার মান যেখানে ১৮৬ পয়েন্ট সেক্ষেত্রে পেয়ারার পুষ্টি মূল্যমান ৪২১ পয়েন্ট। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। পাশাপাশি বহু রোগ প্রতিরোধে ও পেয়ারা ভূমিকা রাখে।
জেনে নিন পেয়ারার গুণসমূহ:
১) ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে পেয়ারা। পেয়ারার প্রায় ৮১%ই পানি তাই পেয়ারা খেলে দেহ জলশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পায়, ত্বক সুস্থ থাকে। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষাতেও কাজ করে। এছাড়া পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে।
২) পেয়ারার বেশ কিছু ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান ঠাণ্ডা সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়া সর্দি-কাশিতে কচি পেয়ারার পাতা রস করে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) চুল পড়া রোধ করে পেয়ারা। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি চুল পড়া রোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়া নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে পেয়ারা।
৪) মস্তিষ্কের সুরক্ষায় কাজ করে পেয়ারা। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন মস্তিষ্কের নার্ভ রিলাক্স করতে সহায়তা করে। এতে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫) নার্ভ ও মাংসপেশি শিথিল করে পেয়ারা। পেয়ারেতে থাকে প্রচুর পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক কঠিন পরিশ্রমের পরেও মাংসপেশি শিথিল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও নার্ভ রিলাক্স করে পেয়ারা।
৬) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারায় থাকা পটাশিয়াম।
৭) দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ।
৮) পেয়ারা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালি ও সুগঠিত করে তোলে। এটি বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ ও জীবাণুর আক্রমণকে প্রতিহত করে। আমাশয় নিরাময়ে পেয়ারা খুবই কার্যকর। পাকা পেয়ারা আতিরিক্ত আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৯) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ভূমিকা রাখে। পেয়ারাতে ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কমে।