ন্যাশনাল ডেস্ক : সাত বছর হদিস নেই রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী সুজনের। ২০১০ সালের ২৪ মার্চ মানিক মিয়া এভিনিউর টিঅ্যান্ডটি মাঠসংলগ্ন এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। এর পর থেকে পুলিশ-র্যাবসহ প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে তাঁর স্বজনরা। সুজনের বড় ভাই মাহবুবুর রহমান গতকাল বলেন, ‘আমার ভাইকে (সুজন) বিয়ে করানোর জন্য পাত্রী খুঁজছিলাম। হঠাৎ কী হয়ে গেল! কাঁদতে কাঁদতে মা অসুস্থ হয়ে চলতি মাসের ৪ তারিখে মারা গেছেন। লোকমুখে শুনেছি, আমার ভাইকে নাকি মেরে ফেলা হয়েছে! তাই যদি হয়, তাহলে সে খবরটুকু অন্তত জানতে চাই আমরা। ’ সুজনের মতোই ৩৯০ জনের স্বজন এভাবেই কাঁদছে, যারা গুম হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছর সাত মাসে ৫৩৯ জন নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে ৩৯০ জন আজও ফেরেনি। গত এক বছর সাত মাসে ১৪২ নিখোঁজ হয়। তাদের ৯০ জনের খোঁজ মেলেনি এখনো।
বাকিদের মধ্যে ১৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ২৯ জনকে। বিএনপির দাবি, ২০০৭ থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত তাদের দলের ২০২ নেতাকর্মী গুম হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নিখোঁজ থাকায় সংসারে চলছে চরম অনটন। মাঝেমধ্যে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ উদ্ধার হয়। তবে সেই হত্যার ব্যাপারে কিছুই আর জানা যায় না। কেউ কেউ ফিরে এলেও উদ্ঘাটিত হয় না অপহরণ রহস্য। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বলছে—পুলিশ, র্যাবসহ অন্য সংস্থাগুলো এসব ঘটনার তদন্তই করে না। মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, নিখোঁজ ঘটনার সুরাহা না হওয়ায় সমাজে এক ধরনের উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর। লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রতিটি ঘটনা তদন্তের সুপারিশ করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এমন পরিস্থিতিতে আজ ৩০ আগস্ট বুধবার সারা বিশ্বে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবস পালিত হচ্ছে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুম হওয়া থেকে সবার সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ফলে গুমের হাত থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকারটি আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয় এবং কাউকে গুম করা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে স্বীকৃৃতি পায়। ২০১১ সাল থেকে ৩০ আগস্ট গুম হওয়া মানুষদের স্মরণ এবং তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী। সনদ অনুযায়ী, নিখোঁজ ব্যক্তির হদিস পাওয়া না গেলে এবং সরকার, প্রশাসন বা প্রভাবশালীরা হত্যা করে মৃতদেহ লুকিয়ে ফেললে তা গুম বলে বিবেচিত হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাংলাদেশেও গুম একটি আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘অপহরণ কিংবা গুম মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই নিখোঁজ ব্যক্তিদের দ্রুত খুঁজে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়াসহ এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অপরাধ ঘটে থাকলে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এতে আইন-শৃঙ্খলা তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ’ কমিশনের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গুম-অপহরণের শিকার ৫২ জন। গত সাত দিনে দুই ব্যবসায়ী ও এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা পরিচয়ে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে একজন ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে কমিশনের অন্য সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফুল বেঞ্চ সভায় গুম ও অপহরণের অভিযোগগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনায় কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ আমলে নিয়েছে।
তবে নিখোঁজ বা গুমের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সম্প্রতি বলেন, ‘গুম বলে কোনো শব্দ নেই। অনেকেই গুম হয়েছেন বলে তাঁদের স্বজনরা দাবি করেছিলেন। পরে দেখা গেছে তাঁদের অনেকে ফিরেও এসেছেন। অনেকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে বা পুলিশের সঙ্গে মারামারি করে আত্মগোপনে চলে যান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফিরেও আসেন। তাঁদের অনেকে গাঢাকা দিয়ে আছেন। ’
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে, চলতি বছরের সাত মাসে (৩১ জুলাই পর্যন্ত) নিখোঁজ হয়েছে ৪৫ জন। যাদের মধ্যে দুজনের লাশ পাওয়া যায়। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তিনজনকে। ফেরত এসেছে সাতজন। বাকি ৩৩ জন এখনো নিখোঁজ। গত বছর, ২০১৬ সালে ৯৭ জন নিখোঁজ হওয়ার পর গুমের অভিযোগ ওঠে। এর মধ্যে ১১ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ২৬ জনকে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর তিনজন ফিরে এলেও নিখোঁজ রহস্য উন্মোচিত হয়নি। বাকি ৫৭ জনের খোঁজ নেই এখনো। এই সংস্থাটির তথ্য মতে, ২০১৫ সালে নিখোঁজ হয়েছে ৫৫ জন, যাঁদের আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং ফেরত এসেছে পাঁচজন। এখনো নিখোঁজ ৩৫ জন। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হয় ১০২ জন, যাদের ৮৮ জনই আজও বাড়ি ফেরেনি। ২০১৩ সালে ৫৮ জনের মধ্যে ৫৩ জন নিখোঁজ ছিল। ২০১২ সালে ৫৬ জনের মধ্যে ৩৪ জন; ২০১১ সালে ৫৯ জনের ৩৯ জন এবং ২০১০ সালে ৪৬ জন অপহৃতের মধ্যে ৩৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ২১ জন নিখোঁজ হয়, যাদের ১৮ জনের খোঁজ মেলেনি। এই হিসাবে ১০ বছর সাত মাসে ৫৩৯ নিখোঁজ ব্যক্তির মধ্যে ৩৯০ জন আজও ফেরেনি। তবে গতকাল আসকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫৪০ জনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে। ৩৪৭ জন নিখোঁজ আছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজ বলেন, আসক মনে করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, অপহরণ—মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, যা মানুষের মনে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে যদি গুমের অভিযোগ ওঠে তাহলে রাষ্ট্রকে অন্য সব অপরাধের মতো এটিও খতিয়ে দেখতে হবে। গুমসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’-এ বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষরের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আসকের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ও মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন বলেন, ‘গুম হলে তাদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব সরকারের। আমাদের সবচেয়ে বড় দাবি—প্রশাসনের বিরুদ্ধে ওঠা নিখোঁজের ঘটনাগুলো স্বাধীন বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে তদন্ত করা হোক। সেই দাবি এখনো বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগ নেই। ’
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উমর ফারুক বলেন, ‘আমীমাংসিত অপরাধের ঘটনা অন্য অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অর্থাৎ অপরাধপ্রবণতা বাড়ায়। অপরাধীরা ওই কৌশলকে বারবার বেছে নেয়। তাই নিখোঁজ হওয়ার প্রতিটি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হওয়া জরুরি। ’
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার আলীকে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর বনানী থেকে তুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের। তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা এখন হতাশাভরা কণ্ঠে বলছেন, ‘স্বামীর খোঁজে অনেকবার অনেকের কাছে সাহায্য চাইতে গেছি। কিন্তু কেউ তাঁর খোঁজ দিতে পারেনি। ’ এখন তিনি শুধু সৃষ্টিকর্তার কাছেই প্রার্থনা জানান।
২০১০ সালের ২৫ জুন ফার্মগেট থেকে আরেক বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমকেও ‘তুলে নেওয়ার’ অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ সাত বছরে তাঁর খোঁজ মেলেনি। তাঁর স্ত্রী হাসিনা চৌধুরী বলেন, ‘গত বছর সিআইডি (পুলিশের অপরাধী তদন্ত বিভাগ) অপহরণ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তারা বলেছে, তদন্তে চৌধুরী আলমের নিখোঁজ হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আমরা কোথায় গেলে সন্ধান পাব, বিচার পাব?’
নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা জানায়, ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত রাজধানী থেকে ১৯ জন নিখোঁজ হয়, যাদের সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নিখোঁজ আল আমিনের ভাই রুহুল আমিন জানান, তাঁর ভাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাস্টার্স শেষে এলএলবি করছিলেন। তিনি ছাত্রদলের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও কোনো পদে ছিলেন না। পরিবারের স্বপ্ন ছিল তিনি লেখাপড়া শেষ করে সংসারের দায়িত্ব নেবেন। এখন তাঁর বাবা আহমাদুল্লাহ ও মা জেসমিন বেগম সারা দিন কাঁদেন।
২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর গুম হওয়া খালিদ হাসান সোহেলের স্ত্রী শাম্মী সুলতানা বলেন, ‘জেলগেট থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে আমার স্বামীকে তুলে নেওয়া হয়েছে। আর ফিরে পাইনি। আমার সন্তান বাবাকে ছাড়া শৈশব পার করেছে। সংসার কিভাবে চলছে, রাষ্ট্র কি সে খোঁজ রাখছে!’
২০১৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সোনা মসজিদ বন্দর এলাকা থেকে র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় মফিজ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে। তিন বছরেও কোনো হদিস মেলেনি তাঁর। মফিজের বন্ধু খলিলুর রহমান বলেন, ‘পানামা কম্পানিতে কাজ করত সে। কারা, কেন তাকে ধরে নিয়ে গেল জানলাম না। ওর তিনটা ছেলে নিয়ে বউটা বড় কষ্টে আছে। ’
নিখোঁজের তালিকা ঘেঁটে সুজন ও মফিজের মতোই রাজনৈতিক পরিচয়হীন অনেক সাধারণ মানুষের তথ্য মিলেছে। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার মহানগর হাকিম আদালত এলাকা থেকে ব্যবসায়ী রেজাউল করিম রেজভি, ৮ এপ্রিল সূত্রাপুর থেকে গার্মেন্ট ব্যবসায়ী তারিব উদ্দীন আহমেদ; ১৫ ফেব্রুয়ারি শাজাহানপুর থেকে দোকান কর্মচারী রফিকুল ইসলাম; ২০১৩ সালের ২৪ মে পুরনো ঢাকার জিন্দাবাহার থেকে ব্যবসায়ী আয়নাল মোল্লা; ৮ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীরচরের আবদুল আজিজ লেনের বাসিন্দা সুলতান হাওলাদার; ২০১১ সালের ২ অক্টোবর দক্ষিণখানের গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম; ৮ নভেম্বর সূত্রাপুরের ব্যবসায়ী মমিন হোসেন; ২৪ অক্টোবর রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও গোদাগাড়ীর পালপুর ধরমপুর মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক আমিনুল ইসলাম নিখোঁজ হন।
২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি বিজয়নগরের মাহতাব সেন্টারের সামনে থেকে তুলে নেওয়া হয় গার্মেন্ট ব্যবসায়ী শিহাবুজ্জামান পাভেলকে (২৬)। বগুড়ার সেই পাভেলের স্ত্রী নার্গিস আফসানা আক্তার জানান, পল্টন থানায় মামলা করার পর দুই বছর ধরে তাঁরা ঘুরছেন। কেউ তাঁর স্বামীর হদিস দিতে পারেনি।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর সদরের বাসা থেকে বাসে চড়ে ঢাকায় আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ। এরপর ধানমণ্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরির কাছ থেকে গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় তাঁকে। চলতি বছর তিনি ফিরে এলেও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি। একইভাবে আইনজীবী রিজওয়ানা হাসানের স্বামীসহ কয়েকজন ফিরে এসেছেন। কিন্তু তাঁদের নিখোঁজ রহস্যের জট আজও খোলেনি।
টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া—নিষ্ঠুরতার জন্য জবাবদিহি হতে হবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘গুমের শিকার পরিবারের সঙ্গে দোয়ার শরিক হয়ে সরকারকে আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, এ নিষ্ঠুরতার জন্য অচিরেই তাদের জবাবদিহি হতে হবে। ’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক টুইট বার্তায় খালেদা জিয়া এ কথা বলেন।
সূত্র : কালের কণ্ঠ।