নিজস্ব প্রতিবেদক : আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের দোকানঘর দখলের ব্যর্থ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে শহরের কাটিয়া আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে স্থানীয় জনগনের প্রতিরোধের কারণে তারা ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উক্ত এলাকার বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আক্তারুজ্জামানের সম্পত্তিতে অবস্থিত দোকানঘর নিয়ে স্থানীয় মাহফিজুর রহমান মিলন ও সদর থানার দালাল পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমান গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত উক্ত বিষয়ে নিস্পত্তি না হওয়ায় পর্যন্ত উভয় পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে মিলন ও সদর থানার দালাল পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমান লোহাকাটা মেশিন, হাতুড়ি ও সেনি নিয়ে উক্ত দোকানের তালাগুলো কাটতে থাকে। এসময় নৈশ প্রহরী তাদের বাধা দিলে মিলন ও আব্দুর রহমান পুলিশে সাথে কথা বলতে বলেন। পরে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে তালা কাটার কারণ জানতে চাইলে আব্দুর রহমান বলেন পুলিশ তালা কাটার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পুলিশ সুপার সাহেব পুলিশ পাঠিয়ে দিয়েছে তালা কাটার জন্য। এদিকে ওই সময় সদর থানায় এস আই সুমনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য উক্ত স্থানে অবস্থান করছিলেন। স্থানীয়রা ওই সময় এস আই সুমনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘আমরা তো অন্য কাজে এসেছি’। অবশ্য এব্যাপারে তিনি ওসি সাহেবের সাথে কথা বলার অনুরোধ জানিয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ কথা শোনার পর স্থানীয়দের তোপের মুখে লোহাকাটা মেশিন ফেলে দখলচেষ্টাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উল্লেখ্য, সদর থানার দালাল পরিচয়দানকারী আব্দুর রহমান পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি ও সার্কেল এসপির নাম ব্যবহার করে শহরের মানুষকে ব্যাপক হয়রানি করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় সদর উপজেলার অসহায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে যাচ্ছে। জমি দখল থেকে শুরু করে শহর এলাকায় সংগঠিত বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত ওই আব্দুর রহমান। সে মাহমুদপুর এলাকার মৃত গোলম নবি মামুনের ছেলে।
স্থানীয়রা আরো জানায়, দেবহাটা উপজেলার নব্য প্রভাবশালী এক ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সম্পর্কের এই আব্দুর রহমান। ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অসংখ্য নারী কেলেঙ্কারীর প্রমাণ রয়েছে। ওই চেয়ারম্যান অবৈধভাবে জিরো থেকে কোটিপতি হয়েছেন। আর এই অবৈধ টাকার প্রভাবে উর্দ্ধতন মহলকে পকেটস্থ করে রাখেন তিনি। আর সেই জোরে তিনি আব্দুর রহমানের মত বিভিন্ন দলাল শ্রেণির মানুষকে উস্কে দিচ্ছেন। এতে করে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশসহ উর্ধ্বতন মহলের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন সচেত সাতক্ষীরাবাসী। এলাকাবাসী একজন মুক্তিযোদ্ধার দোকানঘর দখলের পায়তারার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং যারা পুলিশের নাম ব্যবহার করে এ ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছেন তাদের শাস্তি করেছেন।
এবিষয়ে সদর থানা ওসি মারুফ আহমেদ বলেন, তালা কাটার বিষয়টি জানা নেই। আর তারা যদি আমাদের নাম ব্যবহার করে তাহলে সেটা অন্যয় করেছে।