অস্ট্রেলিয়াকে বেশি বড় লিড নিতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে নাথান লিওনকে নিয়ে ভয়টা সত্যি হচ্ছে। অসি স্পিনারের বোলিংয়ে বিপদে পড়েছে স্বাগতিকরা। ৪৩ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, যার তিনটিই লিওনের। সর্বশেষ তার সঙ্গে যোগ দিয়ে স্টিভ ও’কিফ তুলে নিয়েছেন নাসির হোসেনের উইকেট।
অস্ট্রেলিয়াকে আর কোনও রান করতে না দিয়েই চতুর্থ দিন ৩৭৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ। ৭২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে তারা। কিন্তু দুই ওপেনারের ব্যাট হাসেনি। সৌম্য সরকার মাঠ ছাড়ার কিছুক্ষণ পর তামিম ইকবাল হতাশ করেন। ঘরের দর্শকদের সামনে আরও একটি অস্বস্তিকর ইনিংস খেলে লিওনের স্টামিং হন তিনি। টানা চতুর্থ ইনিংসেও ব্যর্থ ইমরুল কায়েস। তিনিও বিদায় নেন লিওনের বলে। এরপর একে একে সাকিব আল হাসান ও নাসিরের বিদায়।
বাংলাদেশের বিপর্যয়ের শুরু সৌম্যকে দিয়ে। পুরো সিরিজে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি এ ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ইনিংসে মাত্র ৯ রানে প্যাট কামিন্সের বলে ম্যাট রেনশর ক্যাচ হন সৌম্য। ১১ রানে স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে অসিরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে তার সর্বোচ্চ রান ৩৩, চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে। ঢাকা টেস্টে ৮ ও ১৫ রান করেছিলেন সৌম্য।
এরপর তামিম ৩৮ বল খেলে ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। দুটি চার রয়েছে তার ইনিংসে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯ রান করেছিলেন তিনি। কিছুক্ষণ পর ইমরুলকে ১৫ রানে শিকার বানান লিওন। এক্সট্রা কভারে সরাসরি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ক্যাচ দেন তিনি। আগের তিন ইনিংসে তার স্কোর ছিল ০, ২ ও ৪। সাকিবও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। মাত্র ২ রানে ওয়ার্নারকে ক্যাচ দেয় লিওনের শিকার তিনি। পরের ওভারে ও’কিফের বলে মাত্র ৫ রানে ফার্স্ট স্লিপে স্টিভেন স্মিথকে ক্যাচ দেন নাসির। ক্রিজে আছেন সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম।
৯ উইকেটে ৩৭৭ রানে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেছিল অসিরা। নাথান লিওন ও স্টিভ ও’কিফের শেষ জুটি আর কোনও রান করতে পারেননি। রানের খাতা না খুলেই উইকেট হারায় তারা।
প্রথম ওভার সাকিব আল হাসান রান করতে দেননি ও’কিফকে। পরের ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান বল হাতে নেন। লিওন তার চারটি বল সামলে নিলেও পঞ্চম বলে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দেন। ৩৭৭ রানেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া। ৭২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৩০৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ডেভিড ওয়ার্নারের ১২৩ রান ও পিটার হ্যান্ডসকম্বের ৮২ রানে তারা সাড়ে তিনশ’র উপর রান করে।
মোস্তাফিজ সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। ৩টি পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।